দাবানলের আগুনে পুড়ছে ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলস এবং বিশ্ব বিনোদনের প্রাণ কেন্দ্র হলিউড। ইতোমধ্যেই মারা গেছেন ১৬ জন। দমকল কর্মীরা দিনরাত এক করে সেখানে কাজ করে চলেছেন। দাবানল সামলাতে পানির জোগান দিতে তারা হিমশিম খাচ্ছেন। আকাশ থেকে প্রতি মুহূর্তে ছিটানো হচ্ছে পাউডার। তবে এখনো আগুনকে কীভাবে বাগে নিয়ে আসা হবে তা নিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন সবাই।
স্যাটেলাইট ছবি থেকে দেখা গেছে প্রশান্ত মহাসাগরের তীরে আগুনের লেলিহান শিখা। মাইলের পর মাইল পুড়ছে। দমকল কর্মীরা দিনরাত এক করেও সামলাতে পারছেন না। এখানেই প্রশ্ন উঠেছে কাছেই তো রয়েছে সমুদ্র। তবে কেন সেখান থেকে পানি নিয়ে এই আগুনকে বন্ধ করা হচ্ছে না।
এর উত্তর হলো সমুদ্রের পানি দিয়ে অতি সহজেই হয়তো আগুনকে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। তবে এতে লাভের তুলনায় ক্ষতি বেশি হবে। সমুদ্রের পানিতে যে লবণ রয়েছে তা আগুন নিভিয়ে দিলেও পানির লবণ নষ্ট হবে না। উল্টো সেই লবণ মাটিতে দ্রুত মিশে যাবে। ফলে এই লবণ যদি মাটিতে মিশে যায় তাহলে মাটির উর্বরতা নষ্ট হয়ে যাবে। যেখানে মাটিতে লবণ মিশবে সেখানে বহু বছর ধরে কোনো ফসল চাষ করা যাবে না। ফলে আগুন নেভার পর সেখানে যে খাবারের অভাব দেখা দেবে তাকে সামলানো যাবে না।
এখানেই শেষ নয় সমুদ্রে পানি দমকলের বিভিন্ন যন্ত্রকেও অকেজো করে দেবে। ফলে এই যন্ত্রগুলো আগামী দিনে আর কাজ করবে না। লোহার যন্ত্রে লবণ যে পরিমাণ মরচে ধরিয়ে দেবে সেখান থেকে সেগুলো আর ব্যবহার করা যাবে না। দাবানলের জেরে গোটা এলাকা এখন বিপর্যস্ত। অন্য এলাকা থেকে পানি নিয়ে এসে সেখানে আগুন নেভানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে কখনোই সমুদ্রের পানি ব্যবহার করছেন না দমকল কর্মীরা। দ্য ইনডিপেনডেন্ট