প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন বলেছেন, ‘আমাদের ক্ষমতার মধ্যে আছে এমন নির্বাচনি সংস্কার ইলেকশনের আগে করে ফেলব। যেগুলো রাজনৈতিক বিষয় আছে সেগুলো ঐকমত্য কমিশন করবে।’
গতকাল নির্বাচন ভবনে সিইসির সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার নতুন হাইকমিশনার সুসান রাইলি সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎ শেষে সিইসি এসব কথা বলেন। বৈঠকে অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনারের কাছে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি ও সংস্কার কাজের অগ্রগতি তুলে ধরেন সিইসি। সিইসি বলেন, ‘ঐকমত্য কমিশন থেকে বলবে কখন, কীভাবে উনারা করবেন। সেটা আমাদের হাতে নেই। যেগুলোতে রাজনৈতিক বিষয় আছে, যেগুলোতে রাজনীতি ইনভল্ভ রয়েছে, সেটা উনারা করে সিদ্ধান্ত নিলে তখন আমরা জানব। নির্বাচনের আগে যেগুলো করা সম্ভব মনে করছি, আমরা এগুলোর ওপর কাজ করছি।’ বৈঠক শেষে সিইসি নাসির উদ্দীন বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার আমাদের কাছে জানতে চেয়েছেন আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য আমরা কী প্রস্তুতি নিয়েছি। আমাদের প্রস্তুতির কথা বিস্তারিত জানিয়েছি। সংস্কারের বিষয়ে জানতে চেয়েছেন কী কী বিষয়ে আমরা সংস্কার করতে যাচ্ছি।’ অস্ট্রেলিয়া সব ধরনের সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে জানিয়ে সিইসি বলেন, ‘আমি বলেছি ইউএনডিপি আমাদের সহায়তা করছে, আপনারা এটা দেখেন। দেখার পর যদি আপনারা কোনো এরিয়ায় ইনভল্ভ হতে চান, হতে পারেন।’ সিইসি জানান, ভোটার তালিকা হালনাগাদ, কেনাকাটা থেকে আইনি সংস্কারের অগ্রগতি তুলে ধরা হয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে নাসির উদ্দীন বলেন, ‘আমরা ভোটার রেজিস্ট্রেশনটাকে মেজর হিসেবে দেখেছি। এটা আমরা অলমোস্ট শেষ পর্যন্ত নিয়ে এসেছি। কেনাকাটার জন্য টেন্ডারের কাজ চলমান রয়েছে। সীমানা নির্ধারণের বিষয়টি আইন সংশোধনের জন্য পাঠানো হয়েছে। রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের জন্য দুই মাসের সময় বাড়িয়েছি। আচরণবিধি সংশোধনের চেষ্টা করছি। পর্যবেক্ষকদের নীতিমালা নিয়েও কাজ চলছে।’
আগামী নির্বাচন ফ্রি, ফেয়ার হবে : বৈঠক সম্পর্কে অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার সুসান রাইলি বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন ফ্রি, ফেয়ার হবে বলে প্রত্যাশা করি। ভোটের প্রস্তুতিও আমরা জেনেছি।’