নানান গুঞ্জনের অবসান ঘটিয়ে অবশেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তন করে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’ নাম দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং সাধারণ মানুষের দাবির মুখে শোভাযাত্রার আয়োজক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ এ নাম পরিবর্তন করে। এটিকে তারা নাম পরিবর্তন না বলে সাবেক নামে ফিরে যাওয়া হিসেবে উল্লেখ করেছে। গতকাল চারুকলা অনুষদে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান চারুকলা অনুষদের ডিন আজহারুল ইসলাম চঞ্চল।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান, বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপনের কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক ও প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক এম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, বাংলা নববর্ষ-১৪৩২ উদযাপন কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির সদস্যসচিব ও চারুকলা অনুষদের ডিন আজহারুল ইসলাম চঞ্চল, শোভাযাত্রা উপকমিটির সদস্যসচিব অধ্যাপক এ এ এম কাওসার হাসান টগর, প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমদ এবং কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটি ও উপকমিটিসমূহের সদস্যরা।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বিগত বছরগুলোর চেয়ে এবারের শোভাযাত্রাটি হবে সর্ববৃহৎ, বর্ণাঢ্য ও জাঁকজমকপূর্ণ। শোভাযাত্রায় বৈচিত্র্য ও বিভিন্ন জাতিসত্তার অংশগ্রহণ থাকবে।
গত শতকের আশির দশকে শুরু হওয়া মঙ্গল শোভাযাত্রাকে জাতিসংঘের অঙ্গসংস্থা ইউনেস্কো বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আবেদনক্রমে ২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে। ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’ প্রতিপাদ্যে উদযাপিত হবে এবারের শোভাযাত্রা।
প্রসঙ্গত, আনন্দ শোভাযাত্রা নামেই চারুকলা অনুষদের শোভাযাত্রাটি প্রবর্তন করা হয়। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’র নাম পরিবর্তন করে ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ নাম দেওয়া হয়।