নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীকে একটি হত্যা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশের রিমান্ড আবেদনের শুনানির দিন পিছিয়েছেন আদালত।
সোমবার দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় দায়ের করা রিকশাচালক মো. তুহিন হত্যা মামলায় সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করলে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মঈনউদ্দিন কাদির শুনানির দিন পিছিয়ে আগামী ৭ জুলাই নির্ধারণ করেন।
নারায়ণগঞ্জ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (ভারপ্রাপ্ত) অ্যাডভোকেট একেএম ওমর ফারুক নয়ন এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় দায়ের করা রিকশাচালক মো. তুহিন হত্যা মামলায় সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করেছিল পুলিশ। আসামিপক্ষের আইনজীবী তখন এ মামলায় উচ্চ আদালতে আসামির জামিন আবেদন করেছেন জানিয়ে ওই আবেদন নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত রিমান্ড শুনানি স্থগিত রাখার আবেদন জানান। সেই সঙ্গে আদালত বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে রিমান্ড শুনানির তারিখ আগামী ৭ জুলাই নির্ধারণ করেছেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আওলাদ হোসেন বলেন, উচ্চ আদালতে জামিন শুনানি শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই মামলায় নিম্ন আদালতে রিমান্ড শুনানি স্থগিত রাখার আবেদনটি দিয়েছিলাম। আদালত আইনের বিষয়গুলো বিবেচনা করে আদেশ দিয়েছেন। আমরা এতে সন্তুষ্ট।
মামলার নথিসূত্রে জানা যায়, গত বছরের ২০ জুলাই বিকেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের শিমরাইল এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান রিকশাচালক মো. তুহিন। পরে ১৩ সেপ্টেম্বর সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের স্ত্রী আলেয়া আক্তার মিম।
ওই হত্যা মামলায় নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, সাবেক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ৯৯ জন নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়। আইভী এ মামলার ১১ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি।
এর আগে, গত ৯ মে ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে নারায়ণগঞ্জ শহরের দেওভোগ এলাকার চুনকা কুটিরের নিজ বাসা থেকে সেলিনা হায়াৎ আইভীকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। পরে মিনারুল হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আইভীর বিরুদ্ধে হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মোট ছয়টি মামলা আছে। ছয়টি মামলাতেই তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। গ্রেফতারের পর থেকে তিনি গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে আছেন।
বিডি প্রতিদিন/কেএ