হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দিতে যাত্রীবাহী বাসে কলেজ শিক্ষার্থীকে একা পেয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করেছে বাসটির চালক ও হেলপার। সোমবার অভিযুক্ত বাসচালক সাব্বির মিয়াকে হবিগঞ্জ কোর্টে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
এদিকে, সকালে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসাপাতালে প্রেরণ করে পুলিশ। দুপুর আড়াইটার দিকে ভুক্তভোগীকে দেখতে এবং তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করতে হাসপাতালে যান হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার এএনএম সাজেদুর রহমান।
এ সময় তিনি জানান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে। ভুক্তভোগী নিজেই বাদী হয়ে বাসচালক ও হেলপারের বিরুদ্ধে নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেছে। গ্রেফতার বাসচালককে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাথমিক সত্যতা মিলেছে। তাকে হবিগঞ্জ কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্য আসামি বাসের হেলপারকে ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ ঘটনায় কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালের (আরএমও) মোমিন উদ্দিন চৌধুরী বলেন, হাসপাতালে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, রবিবার রাত ১০টার দিকে জেলার বানিয়াচং উপজেলার বড় বাজার এলাকার বাসিন্দা এবং ঢাকার ওয়ারিয়েন্টাল কলেজের ওই শিক্ষার্থী ঢাকার ফার্মগেট থেকে একটি বাসে বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। পথে শায়েস্তাগঞ্জে নামার কথা থাকলেও তিনি ঘুমিয়ে পড়ায় বাসটি সিলেট পর্যন্ত চলে যায়। সিলেটে ঘুম ভেঙে তিনি নবীগঞ্জ হয়ে বানিয়াচং যাওয়ার জন্য অন্য একটি বাসে উঠেন। শেরপুরে অন্যান্য যাত্রীরা নেমে যাওয়ার পর বাসে তিনি একা হয়ে পড়েন। সুযোগ বুঝে বাসচালক সাব্বির ও হেলপার লিটন তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন।
একপর্যায়ে আউশকান্দি এলাকায় ভুক্তভোগীর চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে খবর দেয়। সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছালে স্থানীয় লোকজন বাসচালক সাব্বিরকে আটক করে সোপর্দ করেন। তবে হেলপার লিটন মিয়া পালিয়ে যান। পরে সেনাবাহিনীর ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদ ভুক্তভোগী কলেজ শিক্ষার্থী ও অভিযুক্ত বাসচালককে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করেন।
বিডি প্রতিদিন/কেএ