দখল-দূষণে বিপন্ন লক্ষ্মীপুরের খাল ও নদীগুলো। আসছে বর্ষায় জলাবদ্ধতার আশঙ্কা করছেন সচেতন মহল। এমন পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে ১০ দিনব্যাপী অভিযান পরিচালনার কর্মসূচি গ্রহণ করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
আজ বুধবার সকালে জেলা শহরের মাদাম ব্রীজ এলাকায় ‘রহমতখালি নদী পরিচ্ছনতা কর্মসূচি’র উদ্বোধন করা হয়েছে। পৌর কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে এ কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক রাজিব কুমার সরকার।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক ও পৌর প্রশাসক মো. জসীম উদ্দিন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জামশেদ আলম রানা, লক্ষ্মীপুর পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ ফারাবি ও লক্ষ্মীপুর প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলাম পাবেল প্রমুখ।
এ সময় প্রধান অতিথি ও পৌর প্রশাসক বলেন, খাল-নদী দখল ও দূষণরোধে একযোগে ১০ দিনব্যাপী পুরো জেলায় অভিযান চলবে। স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী কর্ম পরিকল্পনায় কাজ করা হচ্ছে। ১ম ধাপে উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাবৃন্দসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে অভিযান পরিচালনার। স্থানীয় এলাকাবাসী, তরুণ প্রজম্মসহ সংশ্লিষ্ট সবাই এ অভিযানে সহায়তা করার আহ্বান জানান তারা। সবার সহযোগিতায় সফল অভিযান ও আসন্ন বর্ষায় জলাবদ্ধতা থেকে সকলকে রক্ষা ও কৃষকের ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন এ দুই কর্মকর্তা।
জানা যায়, লক্ষ্মীপুরে মেঘনা নদী, রহমতখালি, ডাকাতিয়া, ভুলুয়া নদী ও বীরেন্দ্রখালসহ অসংখ্য খাল ও নদী রয়েছে। জেলায় ১১৮ বর্গ কিলোমিটার নদীপথ রয়েছে, নদীপথ জেলার মোট আয়তন ২৩ শতাংশ। এর মধ্যে ডাকাতিয়া নদীর ৫৭টি পয়েন্ট, রহমতখালির অর্ধশতাধিক ও ভুলুয়া নদীর ৩৭টি পয়েন্ট চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব স্থানে পর্যায়ক্রমে অভিযান চলবে।
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ