লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট বাজার থেকে সাপটানা পর্যন্ত সড়কের সংস্কার ও প্রশস্তকরণের কাজ চার বছরেও শেষ হয়নি। মোগলহাট ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষের ভোগান্তি দূর করতে ২০২১ সালে শুরু হয় মোগলহাট থেকে সাপটানা সড়কের সংস্কার ও প্রশস্তকরণ কাজ। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও আজও তা শেষ হয়নি। এ সময় খোয়া বিছিয়ে পালিয়েছে ঠিকাদার। এতে ভোগান্তি আরও বেড়েছে ওই এলাকার হাজার হাজার মানুষের।
এলজিইডি সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান এবং বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক পুনর্বাসন প্রকল্পের আওতায় আট কিলোমিটার দীর্ঘ এ সড়ক ১২ ফুট থেকে ১৮ ফুট পর্যন্ত প্রশস্ত করার উদ্যোগ নেয় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি)। ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে কাজটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব পায় বেলাল কনস্ট্রাকশন ও হামিদ ট্রেডার্স।
রিকশাচালক মোনাব্বেরুল হক বলেন, ‘এ রাস্তা দিয়ে আমরা সব সময় চলাচল করি। যাত্রী নিয়ে যাওয়া আসা করা খুবই অসুবিধা। অনেকদিন ধরে রাস্তাটি ভাঙা অবস্থায় আছে। এ রাস্তায় গাড়ি চালানো দুষ্কর।’ মোগলহাট এলাকার ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘এ রাস্তার কাজ তিন চার বছর আগে শুরু হয়েছে। আজও শেষ হয়নি। শুধু খোয়া বিছিয়ে ঠিকাদার পালিয়েছে। এ এলাকার মানুষ চরম ভোগান্তিতে রয়েছি। যত দ্রুত সম্ভব রাস্তার সংস্কার কাজ শেষ করার দাবি জানান তিনি। একই এলাকার তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন সময়ে প্রতিবাদ করেছি, এলজিডিকে জানিয়েছি। কিন্তু তারা সাড়া দেয়নি।’ সড়ক সংস্কার ও প্রশস্তকরণের বিষয়ে ঠিকাদার ও এলজিইডির কোনো সাড়া না পাওয়ায় দাবি আদায়ে এবার মাঠে নেমেছে স্থানীয় সব শ্রেণি-পেশার মানুষ। এলাকাবাসী মানববন্ধন-সমাবেশ করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে রাস্তার কাজ সম্পন্ন না হলে সড়ক অবরোধের ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীরা। এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
লালমনিরহাট এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. কাওছার আলম বলেন, আমি রাস্তাটি পরিদর্শন করেছি। ঠিকাদারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তিনি মৌখিকভাবে অপারগতা প্রকাশ করেছেন। তাই চলতি মাসের মধ্যে ওই রাস্তার দরপত্র নতুন করে আহ্বান করা হবে। যত দ্রুত সম্ভব কাজ সম্পন্ন করা হবে।