ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রদলের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি ঘিরে নেতা-কর্মীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে নানা অসন্তোষ। অনেকে কমিটি ভেঙে নতুন করে গঠনের দাবি জানিয়েছেন। এ নিয়ে জেলা বিএনপির সিনিয়র নেতা ও কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনা চলছে বলে জানা গেছে।
২০১৮ সালের ৫ জুন প্রেসবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সমিনুজ্জামান সৌমেনকে সভাপতি এবং মুশফিকুর রহমান মানিককে সাধারণ সম্পাদক করে আট সদস্যের জেলা ছাত্রদল কমিটি ঘোষণা দেয় কেন্দ্র। পরবর্তীতে ২৯৭ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ জেলা কমিটি করা হয়। তিন বছর পর পর সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি গঠন করার কথা থাকলেও সাত বছরে আর নতুন কমিটি হয়নি। কমিটির মেয়াদ অনেক আগেই শেষ হওয়ায় দল পরিচালনায় সৃষ্টি হচ্ছে নানা স্থবিরতা। ছাত্রদলের অনেকে জীবন বাজি রেখে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন। অনেকে দীর্ঘ ১৬ বছর আওয়ামী দুঃশাসন ও স্বৈরশাসনামলে নির্যাতন, নিপীড়ন, হামলা-মামলা, গ্রেপ্তার ও কারাভোগ করেছেন। তারা চান সামনের কমিটিতে তাদের মূল্যায়ন করা হবে। বর্তমান সম্পাদকম লীর অনেকে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ পেতে ইচ্ছুক।
জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বখতিয়ার মাহমুদ জানান, অনেকের ছাত্রত্ব নেই। কমিটিতে যারা পদ-পদবিতে রয়েছেন তারা বিয়ে করে সন্তানের বাবা হয়ে গেছেন। তৃণমূল পর্যায়ে যারা রয়েছেন এবং পদ-পদবি নিতে চান তাদেরও বয়স হয়ে যাচ্ছে। নতুন কমিটি দিলে দল আরও চাঙা হবে।
জেলা ছাত্রদল সভাপতি সমিনুজ্জামান সৌমেন ও সাধারণ সম্পাদক মুশফিকুর রহমান মানিক বলেন, নতুন কমিটি দেবে কি দেবে না, এটা কেন্দ্রের ওপর নির্ভর করছে। মেয়াদোত্তীর্ণ হলে নতুন কমিটি হওয়া স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। এতে কারও হাত নেই। জেলা বিএনপি সভাপতি অ্যাডভোকেট এম এ মজিদ জানান, জেলা ছাত্রদল কমিটি প্রক্রিয়াধীন। যে কোনো সময় নতুন কমিটি হতে পারে।