আগামী ১৮ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা বিএনপির সম্মেলন ডেকেছে এক পক্ষ। এ নিয়ে দেখা দিয়েছে উত্তেজনা। যে কোনো উপায়ে আয়োজন প্রতিহতের ঘোষণা দিয়েছে দলের বৃহত্তর অংশের নেতা-কর্মীরা। আমরণ অনশন কর্মসূচির হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তারা।
তারেক রহমানের ৩১ দফা দাবি বাস্তবায়ন ও নির্যাতিত ত্যাগী নেতা-কর্মী নিয়ে কমিটি গঠনের দাবিতে রবিবার আয়োজিত সমাবেশে বক্তারা এ ঘোষণা দেন। জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন। সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলী আজমের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন জেলার সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন, সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম, সাবেক সহসভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম সারোয়ার খোকন।
বক্তারা বলেন, দলের নিবেদিত নেতা-কর্মীদের বাদ দিয়ে ফ্যাসিস্ট সরকারের কৌশলে ১৮ জানুয়ারি একটি প্রহসনের সম্মেলন করার পাঁয়তারা করছে এক পক্ষ। জেলা বিএনপির ১৪টি ইউনিটের কাউন্সিলর রয়েছেন ১ হাজার ৪১৪ জন। আহ্বায়ক কমিটি এখনো ছয়টি ইউনিটে ভোট করতে পারেনি। নির্যাতিতদের বড় অংশ বাদ দিয়ে ভুয়া ভোটার তালিকা করে তারা কাউন্সিল করতে চায়।
পূর্ণাঙ্গ ভোটার তালিকা না করে যে প্রহসনের সম্মেলন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে তা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মাটিতে যে কোনো মূল্যে প্রতিহত করা হবে। এ বিষয়ে দ্রুত ইতিবাচক সিদ্ধান্ত না এলে ১৬ জানুয়ারি আমরণ অনশনসহ বৃহত্তর কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা। এদিকে সম্মেলন প্রতিহতের ঘোষণা দেওয়ায় হাফিজুর রহমান মোল্লা ও জহিরুল হককে কারণ দর্শানোর নোটিস দিয়েছে কেন্দ্রীয় বিএনপি। গতকাল দলের যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত ওই নোটিস দেওয়া হয়। দুই দিনের মধ্যে তাদের নোটিসের জবাব দিতে বলা হয়েছে।