নাটোরের বড়াইগ্রামে পশু ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় ৪ শতাধিক হাঁস মারা যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার কথিত চিকিৎসক শরিফুল ইসলাম হাঁসগুলোকে অ্যান্টিবায়োটিক ইনজেকশন পুশ করেন। গতকাল সকালে মালিক খামারে গিয়ে দেখেন শত শত হাঁস মরে পড়ে আছে। ক্ষতিগ্রস্ত খামার মালিকের নাম ফরজ আলী। তিনি উপজেলার পারকোল মৎস্যজীবী পাড়ার সোবাহান আলীর ছেলে।
অভিযুক্ত শরিফুল ইসলাম জানান, তার বাড়ি নওগাঁর ধামাইরহাটে। বড়াইগ্রামের জোয়াড়ি এলাকায় একটি মুরগির ফার্মে চাকরির সুবাধে কিছু চিকিৎসাব্যবস্থা রপ্ত করেছেন তিনি। এ বিষয়ে তিন মাসের প্রশিক্ষণ নিয়েছেন ঠাকুরগাঁওয়ে। বিভিন্ন এলাকায় হাঁস-মুরগির ভ্যাকসিন ও চিকিৎসা দিচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘ওই খামারে গিয়ে দেখেন হাঁসের প্লেগ ও কলেরা হয়েছে। তাই জেন্টামাইসিন ইনজেকশন পুশ করেন। এতে হাঁসগুলো এভাবে মারা যাবে বুঝতে পারিনি।’
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, হাঁসের মৃত্যুর খবর শুনে আমি ঘটনাস্থলে যাই। এটি সত্যিই মর্মান্তিক ঘটনা। কথিত চিকিৎসক না জেনে, বুঝে চিকিৎসা দিয়েছেন। তার এ কাজ শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তাকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে আসতে বলা হয়েছে। ভুক্তভোগী খামারি ক্ষতিপূরণ চেয়ে অভিযোগ দায়ের করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। খামার মালিক ফরজ আলী জানান, হাঁসের রোগ ধরতে পারেনি তো চিকিৎসা কেন দিল ওই ডাক্তার। আমি এখন সর্বস্বান্ত। সবগুলো হাঁস ছিল ডিম পাড়া। আরও হাঁস মারা যাবে। আমি গরিব মানুষ। এ ভুয়া ডাক্তারের বিচার ও ক্ষতিপূরণ চাই।