মুজিবনগরের সঙ্গে শেখ মুজিবুর রহমানের কোনো সরাসরি সম্পর্ক নেই বলে মন্তব্য করে নতুন আলোচনার জন্ম দিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ঐকমত্য) মনির হায়দার। তিনি বলেন, ‘মুজিবনগর থেকে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে যে তিনটি বিষয়কে স্বাধীনতার মূল লক্ষ্য বলে ঘোষণা করা হয়েছিল সেগুলো ছিল ১. সাম্য, ২. মানবিক মর্যাদা এবং ৩. সামাজিক সুবিচার- অজ্ঞাতকারণে এগুলোকে ১৯৭২ সালের সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি! বর্তমানে এসব বিষয়কে মূলনীতি হিসাবে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বৈদ্যনাথতলা বা ভাবেরপাড়ায় যে ঐতিহাসিক ঘটনাটি ঘটেছিল, সেখান থেকেই বাংলাদেশের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। পরে সেই স্থানটির নাম দেওয়া হয় মুজিবনগর। শেখ মুজিবুর রহমান দেশের স্বাধীনতার মহান স্থপতি, তাঁর অবদান অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু বাস্তবতা হলো-তিনি কোনোদিন মুজিবনগরে আসেননি। তাঁর সঙ্গে এই স্থানের সরাসরি কোনো সংযোগ নেই। তাহলে জায়গাটির নাম কেন মুজিবনগর রাখা হলো? এটি হতে পারত ‘মুক্তিনগর’ যেখানে জাতির মুক্তির সংগ্রামের পথচলা শুরু হয়েছিল। একটি ব্যক্তির নামে নামকরণ হয়েছে, যিনি এখানে কখনো আসেননি এটা নিয়ে মেহেরপুরবাসীকে ভাবতে হবে।’ গতকাল বেলা সাড়ে ১১টায় গাংনী উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উপজেলার সমস্যা ও সম্ভাবনাবিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ওই মন্তব্য করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ঐকমত্য) মনির হায়দার। সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মেহেরপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ। সভাপতিত্ব করেন গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনোয়ার হোসেন।
মনির হায়দার আরও বলেন, ‘৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে দেশ নতুন করে মুক্ত হয়েছে। সেই সময়ের ফ্যাসিবাদী পরাজিতরা যেন আবার মাথা চাড়া দিয়ে না ওঠে, সেজন্য সজাগ থাকতে হবে। এখনো তারা অর্থের জোগান দিয়ে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এদের লক্ষ্য দেশকে আবারও ফ্যাসিবাদের পথে ঠেলে দেওয়া। তারা অর্থনৈতিকভাবে এখনো শক্তিশালী এবং সংগঠিত।’