বাংলাদেশের পোশাক খাতের টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে সুইসকন্টাক্ট এবং বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) মধ্যে যৌথ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গতকাল রাজধানীর উত্তরা বিজিএমইএ কার্যালয়ে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করা হয়। সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে নারী ও তরুণদের জন্য দক্ষতা উন্নয়ন, পরিবেশগত ও সামাজিক কমপ্লায়েন্স, পরিচ্ছন্ন জ্বালানি গ্রহণ এবং পোশাক খাতের কারখানা পর্যায়ে রূপান্তরকে সমর্থন করার জন্য টেকসইকে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করা। সমঝোতা স্মারকটি সুইসকন্টাক্ট পরিচালিত তিনটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের অধীনে সহযোগিতাকে আরও বাড়াবে। প্রকল্পগুলো হলো- পোশাক খাতে দক্ষতার মাধ্যমে সবুজ প্রবৃদ্ধি, সুইডেন দূতাবাস এবং সুইস এজেন্সি ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড কো-অপারেশন (এসডিসি) এর অর্থায়নে এই প্রকল্পটি পোশাক খাতে সবুজ প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়তা করবে। সম্পদ ব্যবহারে দক্ষতার জন্য বেসরকারি বিনিয়োগ উৎসাহিতকরণ, সুইডেন দূতাবাস কর্তৃক অর্থায়িত এই প্রকল্প পোশাক খাতে নবায়নযোগ্য জ্বালানি এবং জ্বালানি দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। দক্ষতার মাধ্যমে তরুণদের কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের অর্থায়নে এই প্রকল্পটি পোশাক, কৃষি-প্রক্রিয়াকরণ এবং আইসিটি খাতে কারিগরি ও সফট স্কিল প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তরুণদের কর্মসংস্থান বাড়াতে কাজ করবে। বিজিএমইএ প্রশাসক আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘এই সমঝোতা স্মারক উদ্ভাবন, কর্মী বাহিনীর উন্নয়ন এবং স্থিতিশীলতার মাধ্যমে প্রতিযোগী সক্ষমতা বাড়বে। বাংলাদেশের পোশাক খাতকে শক্তিশালী করার প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতিরই প্রতিফলন এটি। আমরা শিল্পজুড়ে টেকসই পরিবর্তন আনার জন্য সুইসকন্টাক্টের সঙ্গে কাজ করতে উন্মুখ হয়ে আছি।’ সুইসকন্টাক্ট বাংলাদেশের ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর ইশরাত ফাতেমা বলেন, ‘পোশাক খাতকে আরও স্থিতিস্থাপক, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং পরিবেশগতভাবে টেকসই করতে বিজিএমইএ-এর সঙ্গে হাত মেলাতে পেরে আমরা আনন্দিত।
এই অংশীদারি কারখানাগুলোকে সবুজ অনুশীলন গ্রহণে সহায়তা করবে। শ্রমিকদের, বিশেষ করে নারীদের জন্য উন্নত জীবিকা নিশ্চিত করবে।’