সিগারেটে কার্যকর করারোপের দাবি জানিয়ে গবেষণা সংস্থা উন্নয়ন সমন্বয় বলেছে, বিদ্যমান করের চেয়ে সিগারেটের ওপর আরও বেশি করারোপ করা উচিত। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে সিগারেটে কার্যকর করারোপের প্রস্তাবনা বিষয়ক প্রাক-বাজেট সংবাদ সম্মেলনে সংস্থার পক্ষ থেকে এমন অভিমত ব্যক্ত করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিআইআইএসএসের গবেষণা পরিচালক অর্থনীতিবিদ ড. মাহফুজ কবির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. শাফিউন নাহিন শিমুল, বিআইডিএসের গবেষণা সহযোগী হোমায়রা আহমেদ, উন্নয়ন সমন্বয়ের গবেষণা পরিচালক আবদুল্লাহ নাদভী প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেছেন, চলতি অর্থবছরের বাজেটে সিগারেটে কার্যকর করারোপের বিষয়ে তামাক-বিরোধী নাগরিক সংগঠনগুলোর প্রস্তাবের প্রতিফলন দেখা না গেলেও, অর্থবছরের মাঝামাঝিতে এসে বিভিন্ন স্তরের সিগারেটের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৮ থেকে ২০ শতাংশ বৃদ্ধি এবং সব স্তরের সিগারেটের ওপর একই বর্ধিত হারে (৬৭ শতাংশ হারে) সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়। দেরিতে হলেও নাগরিক সংগঠনের প্রস্তাবগুলো কর-নীতিতে প্রতিফলিত করায় একদিকে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে, অন্যদিকে সরকারের বাড়তি রাজস্ব পাওয়ার সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটেও সিগারেটে কার্যকর করারোপের এই ধারা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছে গবেষণা সংস্থা উন্নয়ন সমন্বয়।