ফেনী জেলার ফুলগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ৩১ থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হলেও চিকিৎসা সরঞ্জাম ও পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় চরম স্বাস্থ্যসেবা সংকটে পড়েছেন এলাকাবাসী। প্রায় দুই যুগ আগে প্রতিষ্ঠিত এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এখনো চলছে জনবল সংকট, যন্ত্রপাতির অচলাবস্থা ও ব্যবস্থাপনার অভাব।
১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠিত ফুলগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ২০১৭ সালে ১৬ কোটি ৩২ লাখ টাকা ব্যয়ে ছয়তলা বিশিষ্ট ভবনে সম্প্রসারণের অনুমোদন পেলেও তা বাস্তবায়নে লেগে গেছে প্রায় ৬ বছর। ২০১৯ সালের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ভবনের নির্মাণ শেষ হয় ২০২৫ সালে এসে।
জুলাইয়ের শুরুতে নতুন ভবনে প্রাথমিকভাবে বহিঃবিভাগ ও প্রশাসনিক কার্যক্রম চালুর পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন ফেনী জেলা সিভিল সার্জন ডা. রুবাইয়াত বিন করিম।
তবে বাস্তব চিত্র ভিন্ন। হাসপাতালে বর্তমানে মাত্র ১ জন মেডিকেল অফিসার কর্মরত, বাকি পদটি শূন্য। গাইনি, সার্জারি ও আবাসিক মেডিকেল অফিসারের (RMO) পদও ফাঁকা। অনুমতি ছাড়া দুই চিকিৎসক বিদেশে অবস্থান করছেন। ইউনিয়ন ও উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রেও জনবল সংকট প্রকট। সেবক-সেবিকা, মিডওয়াইফ, ওয়ার্ড বয়, পরিচ্ছন্নতা কর্মী, এমনকি অফিস সহকারীর পদগুলোও প্রায় শূন্য।
স্থানীয়রা বলছেন, “এই হাসপাতালটাই এখন চিকিৎসার জন্যই রোগী হয়ে পড়েছে।” জনবল সংকটে সেবার মান দিন দিন নিচে নেমে যাচ্ছে। নেই গাইনি ও সার্জারি কনসালট্যান্ট, এক্স-রে মেশিন অকেজো, চালক না থাকায় নতুন অ্যাম্বুলেন্সও অচল।
দালালদের দৌরাত্ম্য ও ক্লিনিক ব্যবসার হাতছানি থেকে সাধারণ রোগীরা মুক্তি পাচ্ছেন না বলেও অভিযোগ।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. গোলাম কিবরিয়া জানান, “আমরা ডাক্তাররা পরিশ্রম করেও সব কিছু সামাল দিতে পারি না। জনবল ও সরঞ্জাম ছাড়া ভালো চিকিৎসা সেবা দেওয়া কঠিন।”
বিডি প্রতিদিন/আশিক