প্রাইম ব্যাংক চট্টগ্রাম জুবিলি রোড শাখা থেকে ৪৬ কোটি ৮৩ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাদ-মুসা গ্রুপের মালিক ও সাউথ বাংলা এ্যাগ্রিকালচার কমার্স ব্যাংকের (এসবিএসিবি) সাবেক পরিচালক মোহাম্মদ মোহসিনসহ ১১ জন, জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আমির হোসেন আমু, তাঁর কন্যা সুমাইয়া হোসেন ও শ্যালিকা সৈয়দা হক মেরীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক। অপরদিকে বগুড়া-৫ আসনের সাবেক এমপি হাবিবর রহমানের (৮০) সাতটি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
এছাড়া যশোর-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রণজিত কুমার রায়, তাঁর স্ত্রী নিয়তি রানী রায়, তাঁদের সন্তান রাজীব কুমার রায় ও সজীব কুমার রায়ের নামে থাকা চারটি ফ্ল্যাট, দুটি বাড়ি, ৬০টি দোকানসহ ৭৯ দশমিক ৬২ বিঘা জমি জব্দ করেছেন আদালত। পাশাপাশি তাঁদের ১৩৭টি ব্যাংক হিসাবে থাকা ২ কোটি ৭৮ লাখ ৭৩ হাজার ৬৬৭ টাকা অবরুদ্ধ করা হয়েছে।
দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ জাকির হোসেন গালিব গতকাল এ আদেশ দেন। দুদকের পক্ষে সহকারী পরিচালক সাজিদ উর রোমান জব্দ ও অবরুদ্ধের আবেদন করেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
তাঁদের স্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে যশোর সদরে ১৩৫৬ বর্গফুটের দুটি ফ্ল্যাট ও নিউমার্কেটের পাশে ১২২৪ বর্গফুটের আরও দুটি ফ্ল্যাট, চার ও তিন তলার দুটি বাড়ি। জব্দ সম্পদের মধ্যে যশোরের অভয়নগর উপজেলায় রয়েছে ৬০০৬ বর্গফুটের নির্মাণাধীন ৬০টি দোকান এবং ৭৯ দশমিক ৬২ বিঘা জমি। এসব জমির মধ্যে রণজিত কুমারের রয়েছে ৩১ দশমিক ৪৮ বিঘা, তাঁর স্ত্রীর ১ দশমিক ৭৫ বিঘা ও তাঁদের সন্তানদের ৪৬ দশমিক ৩৯ বিঘা। এসব জমির মোট দলিলমূল্য ১৭ কোটি ১ লাখ ৫৮ হাজার ১৫০ টাকা। যদিও বাস্তবে এর দাম অনেক বেশি হবে বলে জানা গেছে।
অস্থাবর সম্পদের মধ্যে রণজিত কুমারের ২৫ হিসাবে আছে ৭১ লাখ ৪১ হাজার ৩৭৮, তাঁর স্ত্রীর ২১ হিসাবে আছে ৬৫ লাখ ৮৫ হাজার ৮৬, তাঁদের সন্তান রাজীব কুমারের ৪৪ অ্যাকাউন্টে ৬৮ লাখ ৭ হাজার ৬০২, তাঁর নিয়তি ট্রেডে আছে ১৪ হাজার ৩০১, রাজীবের স্ত্রী রিশিতা সাহার ২০টি হিসাবে আছে ৪০ লাখ ৭ হাজার ৯৮৪, রণজিতের ছেলে সজীব কুমারের ১২ হিসাবে আছে ৫ লাখ ৬০ হাজার ৬৪, সজীবের স্ত্রী অনিন্দিতা মালাকার পিউর অ্যাকাউন্টে আছে ২৭ লাখ ৫৭ হাজার ২৫২ টাকা।