নিউইয়র্কের সর্ববৃহৎ সংগঠন বাংলাদেশ সোসাইটির উদ্যোগে ২৮ মার্চ জ্যামাইকায় স্বাধীনতা দিবসের সমাবেশে সংগঠনের সভাপতি আতাউর রহমান সেলিম বলেন, আসুন একে অন্যকে ভালোবাসি এবং পারস্পরিক সম্প্রীতির বন্ধনে প্রিয় মাতৃভূমির সামগ্রিক কল্যাণে কাজ করি। এটাই হোক প্রতিটি প্রবাসীর একমাত্র চাওয়া। এটাই সময়ের দাবি এবং তার প্রতিফলন ঘটাতে হবে ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হয়ে বলেও যোগ করেন তিনি।
ইকরা পার্টি সেন্টারের সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ দলমত নির্বিশেষে সব স্তরের প্রবাসীরা। বাংলাদেশ সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলীর সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন সংগঠনের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মহিউদ্দিন দেওয়ান, ভিএনএস হেলথের পরিচালক সালেহ আহমেদ, কমিউনিটি লিডার রাব্বি সৈয়দ, কমিউনিটি বোর্ড মেম্বার ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার এবং আহসান হাবিব, জ্যামাইকা বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস সোসাইটির প্রধান উপদেষ্টা ওসমান গনি, কমিউনিটি লিডার মিসবাহ আহমেদ, সেন্টার ফর এনআরবির শেকিল চৌধুরী, সমাবেশ কমিটির আহ্বায়ক এবং বাংলাদেশ সোসাইটির ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ কামরুজ্জামান কামরুল, যুগ্ম আহ্বায়ক মফিজুল ইসলাম ভূঁইয়া রুমি, যুগ্ম সদস্যসচিব আশ্রাব আলী খান লিটন প্রমুখ।
সংক্ষিপ্ত আলোচনার পর ইফতার মাহফিলে দোয়া পরিচালনা করেন জামিল আনসারী। সমাবেশের শুরুতে মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদ এবং সম্ভ্রম হারানো মা-বোনদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানানো হয়। দোয়ার সময় জীবিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সুস্বাস্থ্য কামনাও করা হয়। সেসঙ্গে সোসাইটির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মহিউদ্দিন দেওয়ান এবং সেক্রেটারি মোহাম্মদ আলী নিউইয়র্ক ‘বাংলাদেশ ভবন’ প্রতিষ্ঠায় সবার সহযোগিতা চেয়েছেন। একই সঙ্গে ১৩ এপ্রিল জ্যাকসন হাইটসে বাংলাদেশ ডে প্যারেডকেও সাফল্যমণ্ডিত করতে সবার সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, নিউইয়র্ক সিটিতে বাংলাদেশি অধ্যুষিত প্রতিটি স্থানে সংগঠনের উদ্যোগে ইফতার মাহফিল আয়োজনের অংশ হিসেবে এর আগে উডহ্যাভেন বুলেভার্ডে জয়া মিলনায়তন, ব্রুকলিনে রাঁধুনী রেস্টুরেন্ট এবং ব্রঙ্কসে একটি পার্টি হলে ইফতার অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশ আয়োজনে সমন্বয় ও ব্যবস্থাপনায় সক্রিয় ভূমিকায় ছিলেন রিজু মোহাম্মদ, মফিজুল ইসলাম ভূঁইয়া রুমি, ডিউক খান, আকতার বাবুল, মোহাম্মদ হাসান জিলানী, জাহাঙ্গীর সোহরাওয়ার্দী, হারুন অর রশীদ, মুনসুর আহমেদ প্রমুখ।