বাংলা ১৪৩১ সালে রাজশাহী সিটি পশু হাট ইজারা দিয়ে সিটি করপোরেশন রাজস্ব পেয়েছিল ৩ কোটি ৬২ লাখ টাকা। ১৪৩২ সাল অর্থাৎ আগামী বাংলা বছরের জন্য সেই একই পশুর হাটের ইজারা রাজস্ব আয় প্রায় ১৩ কোটি টাকা। একই অবস্থা সিটি করপোরেশনের হাট, ঘাট, বাজারের দরপত্রে। রাজনৈতিক প্রভাব, ঠিকাদারদের সিন্ডিকেট ভেঙে এবার হয়েছে হাট, ঘাট, বাজারের দরপত্র। অংশ নিয়েছেন একাধিক ঠিকাদার। এতে সিটি করপোরেশনের ইজারা মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে রাজস্ব ৭ কোটি থেকে বেড়ে প্রায় ২০ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। বিশ্লেষক ও কর্তৃপক্ষের ভাষ্য, রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন, সিন্ডিকেট, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা অনেকাংশে কমে যাওয়ায় রাজস্ব বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি।
বিগত সময়ে রাজশাহী শহীদ জিয়া শিশু পার্কে খাস কালেকশনের মাধ্যমে আদায় হতো রাজস্ব। এক বছরে আয় হতো ১৭ লাখ টাকা। এবার ৩ বছরের জন্য প্রথমবারের মত দরপত্র দিয়ে রাজস্ব আয় হয়েছে ১ কোটি ৮১ লাখ টাকা। সিটি করপোরেশন জানিয়েছে, চলতি বাংলা বছরে হাট, ঘাট, বাজার, গণশৌচাগার, পার্কিং, স্ট্যান্ড, পুকুর ইজারা দিয়ে তারা আয় করেছিলেন ৭ কোটি টাকা। আগামী বাংলা বছরে সেই রাজস্ব আয় বেড়েছে প্রায় ১৮ কোটি টাকা যা দ্বিগুণেরও বেশি।
এ বিষয়ে সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম শরীফ উদ্দিন জানান, সরকারদলীয় প্রভাব ও রাজনৈতিক পরিচয়ে ঠিকাদারদের সিন্ডিকেট না থাকা এবং স্বচ্ছভাবে দরপত্র প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ায় এমন ইতিবাচক পরিবর্তন। সামনে আরও স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় দরপত্র প্রক্রিয়া ও প্রতিযোগিতামূলক ব্যবস্থায় ইজারার ব্যবস্থা করা হবে। সেবা খাত ব্যতীত অন্যান্য প্রচলিত এবং অপ্রচলিত খাতেও রাজস্ব আয় বাড়াতে গুরুত্ব দেওয়ার কথা জানান তিনি।