ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রকাশনায় মুক্তিযুদ্ধকে অবমাননার তীব্র নিন্দা ও ঘৃণা জানিয়েছেন রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধারা। তারা বলেন, ছাত্রশিবিরের দলীয় প্রকাশনায় জনৈক আহমেদ আফগানী ‘অনেক মুসলিম না বুঝেই মুক্তিযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিল এটা তাদের ব্যর্থতা ও অদূরদর্শিতা ছিল’- এ ধৃষ্টতাপূর্ণ বক্তব্য প্রমাণ করে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের পরাজিত শক্তি জামায়াত-শিবির এখনো বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধকে মনে প্রাণে মেনে নিতে পারেনি। বিজয়ের মাসে তাদের এ বক্তব্য মোদির বক্তব্যেরই প্রতিধ্বনি।
জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের এক বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল এসব কথা বলা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়- মুক্তিযোদ্ধাদের পঁচানব্বই ভাগই ছিলেন মুসলিম। আমরা তৎকালীন পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী বাঙালি জনগোষ্ঠীর প্রতি চরম বৈষম্য শোষণ, বঞ্চনা মা-বোনের ইজ্জত সম্মান রক্ষা ও নিরস্ত্র মানুষকে নির্বিচারে গণহত্যার বিরুদ্ধে সবকিছু বুঝে শুনেই সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের ব্রত নিয়েই মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলাম। ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকেও বিষয়টা নায্য ও যৌক্তিক ছিল। দেশের শতকরা নিরানব্বই ভাগ মানুষই সেটাকে সমর্থন ও প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন। আমরা ৭১’র পরাজিত শক্তি জামায়াত-শিবিরকে জাতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে রাজনীতি করার এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। বিবৃতিদানকারী মুক্তিযোদ্ধারা হলেন- মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ (অব.) বীর বিক্রম, ক্যাপ্টেন নুরুল হুদা (অব.), আবদুল সালাম, অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান, লে. কর্নেল জয়নাল আবেদীন (অব.), ইশতিয়াক আজিজ উলফাত প্রমুখ।
, সাদেক আহমেদ খান, মিজানুর রহমান খান বীর প্রতীক প্রমুখ।