জীবনাচরণ জানতে পিঠে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বসিয়ে সুন্দরবনের খালে আরও একটি লোনা পানি প্রজাতির স্ত্রী কুমির অবমুক্ত করা হয়েছে। গতকাল বাগেরহাটের সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের চরাপুটিয়া খালে এটি অবমুক্ত করেন আইইউসিএন (আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ) সংঘের প্রকল্পের সমন্বয়কারী সারোয়ার আলম দীপু ও সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার মো. আজাদ কবির। কুমিরটির বয়স ১২ বছর, ওজন ২০ কেজি আর উচ্চতা ৭ ফুট। এ নিয়ে মাত্র ১১ মাসে সুন্দরবনের জলভাগে পাঁচটি কুমিরের পিঠে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বসিয়ে অবমুক্ত করা হলো। এর আগে গত বছরের ১৩ ও ১৬ মার্চ দুটি পুরুষ ও দুটি স্ত্রী প্রজাতির লোনা পানির কুমির সুন্দরবনের জলভাগে অবমুক্ত করা হয়। এর মধ্যে একটি অবমুক্ত করার পরপরই সুন্দরবন ছেড়ে একই বছরের ১২ এপ্রিল চিতলমারী উপজেলার শৈলদাহ গ্রামের একটি মৎস্য ঘেরে আশ্রয় নেয়। পরে সেটিকে আটক করে ফের সুন্দরবনে অবমুক্ত করা হয়।
পিঠে ট্রান্সমিটার বসিয়ে কুমির অবমুক্তি প্রসঙ্গে বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মোহাম্মদ নূরুল করিম জানান, সুন্দরবনে এখন আর মিঠা পানির প্রজাতির কোনো কুমির নেই। লোনা পানির প্রজাতির কুমিরের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। কুমিরের প্রজনন ক্ষমতাও কমে যাওয়ায় এ সংকটের সৃষ্টি হয়েছে। এ অবস্থায় সুন্দরবনে লোনা পানির কুমিরের সংখ্যা বাড়াতে বন বিভাগ আইইউসিএনের সহায়তায় কুমির নিয়ে গবেষণা করা হচ্ছে। স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার থেকে প্রাপ্ত তথ্যে কুমিরের জীবনাচরণ, খাদ্যাভ্যাস ও প্রজনন সম্পর্কে আরও বেশি জানা যাবে। এর মধ্য দিয়ে কুমিরের প্রজনন বৃদ্ধি ও সুন্দরবনে কুমিরের সংখ্যা বৃদ্ধি সহজতর হবে।