বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটে আরও ৫০ জন গরিব ও অসহায় রোগীর বিনামূল্যে চোখের ছানি, নেত্রনালি ও মাংস বৃদ্ধির অপারেশন করা হয়েছে। বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার সাবরিনা সোবহান রোডে অবস্থিত হাসপাতালটিতে গতকাল দিনব্যাপী এ অপারেশন কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট, ভিশন কেয়ার ফাউন্ডেশন এবং মইন উদ্দিন-মুক্তার উদ্দিন ওয়েল ফেয়ার সোসাইটির যৌথ উদোগে এই অপারেশনের আয়োজন করা হয়। বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের অবৈতনিক পরিচালক এবং ভিশন কেয়ার ফাউন্ডেশনের সভাপতি প্রফেসর ডা. মো. সালেহ আহমদের তত্ত্বাবধানে সার্জারিতে অংশ নেন ডা. অ্যান্থনি অ্যালবার্ট, ডা. আক্তার ফেরদৌসি জাহান, ডা. জেরিন পারভীন এবং ডা. নুসরাত লুবনা ইসলাম। অপারেশন কার্যক্রম উদ্বোধন করেন অপথালমোলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশের (ওএসবি) কনভেনর অধ্যাপক ডা. মো. সাহাবউদ্দিন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের নিম্নআয়ের পরিবারগুলোর অনেক বয়স্ক মানুষ কম দৃষ্টিশক্তি নিয়েই শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তারা উপার্জন না করায় পরিবারগুলো তাদের চোখের চিকিৎসায় অর্থ ব্যয় করতে চায় না। অনেকের সামর্থ্য থাকে না। বসুন্ধরা চক্ষু হাসপাতালের এমন উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়।
বসুন্ধরা চক্ষু হাসপাতালের ম্যানেজার (এইচআর অ্যান্ড অ্যাডমিন) মোহাম্মদ আহসান হাবীব বলেন, হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠার পর থেকেই অসহায় মানুষদের বিনামূল্যে চোখের চিকিৎসা কার্যক্রম চালু রয়েছে। এ পর্যন্ত সারা দেশে ক্যাম্পের মাধ্যমে রোগী বাছাই করে ৩ হাজার ১৯৫ জনের বেশি রোগীকে বিনামূল্যে অপারেশন করা হয়েছে। এখানে যাদের অপারেশন করা হয়েছে, গত বছরের ২২ অক্টোবর কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরের খনারচর নয়াহাটি পুলের মোড়ে (মক্তব প্রাঙ্গণ) অনুষ্ঠিত ক্যাম্পে অংশ নেওয়া প্রায় ৭০০ রোগী দেখে তাদের মধ্যে ১৬৫ জনকে অপারেশনের জন্য বাছাই করা হয়। সেখান থেকে প্রথম ব্যাচের ৫০ জন রোগীর অপারেশন গতকাল সম্পন্ন হয়েছে। ধারাবাহিকভাবে অন্যদের অপারেশন সম্পন্ন হবে।