শীতের সময় পুরো হিমালয় এলাকা বরফে ঢেকে যায়। এ সময় ওই অঞ্চলে বসবাস করা প্রাণীদের খাদ্য সংকট দেখা দেয়। খাদ্যের সন্ধানে ওই অঞ্চলের প্রাণীরা এবং নিরাপদ পরিবেশের আশায় শত শত মাইল পাড়ি দিয়ে উড়ে আসে রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলায়। পর্যাপ্ত খাবার না পেয়ে একপর্যায়ে ক্লান্ত ও অসুস্থ হয়ে পড়ে। তখন এসব পাখিদের উদ্ধার করে পরিচর্যার মাধ্যমে সুস্থ করে আবার প্রকৃতিতে ছেড়ে দেওয়া হয়। এসব পাখির মধ্যে রয়েছে হিমালয় গৃধিনী শকুন, ঈগল, লক্ষ্মীপ্যাঁচা। গত এক মাসে রংপুর বিভাগ থেকে ১৩টি হিমালয় গৃধিনী শকুন উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে রংপুরে দুটি, কুড়িগ্রামে দুটি, নীলফামারীতে চারটি, গাইবান্ধায় দুটি ও লালমনিরহাট থেকে তিনটি বিশালাকৃতির শকুন উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া একটি ঈগল ও লক্ষ্মীপ্যাঁচা উদ্ধার করা হয়।
রংপুর বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন বলেন, প্রতি বছর শীতের সময় গৃধিনী শকুন আমাদের উত্তরাঞ্চলে চলে আসে। শীত শেষ হলে তারা আবার হিমালয়ে ফিরে যায়। গত এক মাসে ১৩টি হিমালয় গৃধিনী শকুন, একটি ঈগল ও একটি লক্ষ্মীপ্যাঁচা উদ্ধার করা হয়েছে। ঈগলপাখিটির পরিচর্যা শেষে মুক্ত আকাশে অবমুক্ত করা হয়েছে। লক্ষ্মীপ্যাঁচার পরিচর্যা চলছে।