খাদ্য সচিব মো. মাসুদুল হাসান বলেছেন, শুধুমাত্র খাদ্যসংক্রান্ত সমস্যা চিহ্নিত করলেই চলবে না সেই সঙ্গে সমাধানের পথও দেখাতে হবে। তিনি বলেন, 'আমরা জনগণের অর্থে গবেষণা করছি, তাই জনস্বার্থকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে গবেষণা পরিচালনা করতে হবে।'
রবিবার (২৯ জুন) রাজধানীতে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের (বিএফএসএ) নিজস্ব কার্যালয়ে আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন খাদ্য সচিব।
‘২০২৪-২৫ অর্থবছরে গৃহীত গবেষণা প্রকল্প অবহিতকরণ এবং চেক বিতরণ অনুষ্ঠান’ শীর্ষক এ সেমিনারের আয়োজন করে বিএফএসএ।
খাদ্য সচিব আরও বলেন, 'অসংক্রামক রোগের অন্যতম কারণ হচ্ছে খাদ্য। সে ক্ষেত্রে এসব বিষয়ে গবেষণায় দৃষ্টি দিতে হবে। আর যেসব বিষয়ে গবেষণা হচ্ছে তা যেন মানুষের কাজে আসে তা প্রাধান্য দিতে হবে।'
তিনি খাদ্য বর্জ্যের ব্যবস্থাপনা নিয়েও কথা বলেন।
সেমিনারে বিএফএসএর চেয়ারম্যান জাকারিয়ার (অতিরিক্ত সচিব) সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত সচিব শাহ আব্দুল আলিম। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিএফএসএর সদস্য (জনস্বাস্থ্য ও পুষ্টি) ড. মোহাম্মদ মোস্তফা। আলোচক হিসেবে ছিলেন বিএফএসএর সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শোয়েব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান ড. শাকিলা নার্গিস খান।
সেমিনারে জানানো হয়, ২০২২-২০২৩ অর্থবছর থেকে বিএফএসএ গবেষণা কার্যক্রমে অনুদান দেওয়া শুরু করে। সে হিসেবে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৭টি, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ১০টি এবং চলতি অর্থবছরে ১০টি গবেষণা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এ বছরে মোট ১১০টি প্রস্তাব পাওয়া যায়, সেখান থেকে তিন দফা বাছাই শেষে ১০টি গবেষণা প্রস্তাব চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়েছে। উক্ত গবেষণা প্রকল্পের অনুকূলে মোট ১ কোটি ১৯ লাখ ৪০ হাজার টাকার অনুদান দেওয়া হয়েছে।
এসময় বিএফএসএ চেয়ারম্যান জাকারিয়া বলেন, 'আমাদের গবেষণার উদ্দেশ্য হচ্ছে সমস্যা চিহ্নিত করে তা সমাধানের পরামর্শ দেওয়া। আর নীতি-নির্ধারণীরা তা বাস্তবায়ন করবে।'
তিনি বলেন, 'এ বছর খাদ্য সমস্যা চিহ্নিতকরণে গুরুত্ব দেওয়া হয়। আমরা বিজ্ঞানভিত্তিক প্রমাণের দিকে অনেক পিছিয়ে রয়েছি।'
বিডি প্রতিদিন/মুসা