চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলায় নিখোঁজের চার দিন পর ত্রিশ কিলোমিটার দূরে হালদা নদী থেকে দেড় বছরের শিশু তাহিয়া আক্তারের লাশ উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। রবিবার বিকেলে চট্টগ্রামের কালুরঘাট সেতুর কাছে নদীতে ভাসমান অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত তাহিয়া ফটিকছগিড়র পূর্ব সুয়াবিল গ্রামের অটোরিকশা চালক মো. মানিকের কন্যা। পরে ওই শিশুর লাশ ময়নাতদন্ত শেষে সোমবার (২৩ জুন) পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
শিশুটির বাবা মো. মানিক গণমাধ্যমের কাছে অভিযোগ করেছেন, তার সন্তানকে পরিকল্পিতভাবে কেউ হত্যা করতে পারে। তিনি জানান, গত বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বাড়ির সামনে খেলছিলো তাহিয়া। এসময় সে প্যান্ট পরিহিত অবস্থায় ছিলো। কিছুক্ষণ পর তাকে খুঁজে না পেয়ে স্থানীয়রা বাড়ির অদূরে হালদা নদীতে খোঁজাখুজি করেন। কিন্তু তার সন্ধান মেলেনি। চারদিন পর গত রবিবার বিকেলে বাড়ি থেকে ত্রিশ কিলোমিটার দূরে কালুরঘাট সেতুর কাছে নদীতে ভাসমান অবস্থায় স্থানীয়রা তাহিয়ার লাশ উদ্ধার করে। এসময় তাহিয়ার বাবার লাশ শনাক্তের পর দেখেন তার মেয়ের গায়ের উপরের অংশেও জামা পরানো ছিলো। একারণে তিনি সন্দেহ করেন কেউ তাহিয়াকে খুন করে নদীতে ফেলে দিয়েছে।
নাজিরহাট পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর মো. আমান উল্লাহ এ প্রসঙ্গে বলেন, শিশুটির বাবা যে অভিযোগ তুলছেন তা খতিয়ে দেখা দরকার। এটা কী নিছক কোনো দূর্ঘটনা নাকি হত্যাকান্ড তাহলে বিষয়টি বেরিয়ে আসবে।
এ ব্যাপারে জানতে ফটিকছড়ি থানার ওসি মো. মফিজ উদ্দীনকে ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
বিডি প্রতিদিন/এএম