পিএসসি সংস্কার ও প্রশ্নফাঁসে জড়িতদের শাস্তির দাবিতে ঢাবিতে অনশনরত শিক্ষার্থীদের সাথে সংহতি জানিয়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথ অবরোধ করে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষার্থীরা।
শনিবার রাত পৌনে নয়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জব্বারের মোড় এলাকায় ৮ দফা দাবিতে রেলপথ অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। এতে আটকা পড়ে ঢাকাগামী অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস ট্রেনটি। পরে রাত পৌনে ১০টার দিকে অবরোধ তুলে নিলে এ পথে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এর আগে সন্ধ্যা সাতটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা এসময় ৮ দফা দাবি তুলে ধরেন।
দাবি গুলোর মধ্যে রয়েছে- ১। ৪৬ তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার পূর্বে ক) প্রশ্নফাঁসে জড়িতদের বহিষ্কার ও শাস্তির ব্যবস্থা করা। খ) ভবিষ্যতে ৪৬ তম বিসিএস বাতিলের কোন সম্ভাবনা তৈরি হবে না এই মর্মে নিশ্চয়তা। গ) আগামী জুলাই মাসের ভিতর ৪৪ তম বিসিএস-এর চূড়ান্ত ফলাফল (ভাইভায় উত্তীর্ণ) প্রকাশ করে জুলাইয়ের শেষে অথবা আগস্টের প্রথম সপ্তাহে ৪৬ তম বিসিএস-এর লিখিত পরীক্ষার আয়োজন করতে হবে।
২। ৪৫ তম বিসিএস থেকে মৌখিক পরীক্ষার নম্বর ১০০ করতে হবে। ৪৫ তম বিসিএস লিখিত ফলাফল জুলাইয়ের মধ্যে প্রকাশ করে ২০২৫ সালের মধ্যেই চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করতে হবে। ৩। প্রত্যেকটা বিসিএস-এর সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ প্রকাশ করতে হবে। প্রিলিমিনারি, লিখিত ও ভাইভার নম্বর প্রকাশ করা এবং লিখিত পরীক্ষার ন্যূনতম দুই মাস আগে রুটিন ঘোষণা করতে হবে। ৪। দ্রুত অধ্যাদেশ জারি করে কমিশনের বিজ্ঞ সদস্য সংখ্যার সীমা ২৫-৩০ জনে উন্নীতকরণ। ৫। লিখিত খাতার মূল্যায়নে গতিময়তা, নিরাপত্তা ও নিরপেক্ষতা আনয়নে কমিশনে বসে খাতা দেখার ব্যবস্থা করা। ৬। ভাইভার পূর্বে ক্যাডার পছন্দক্রম পুনরায় পছন্দের (জব-পযড়রপব) সুযোগ দিতে হবে। যেহেতু ৪৪ তম বিসিএসের ভাইভা চলমান, সেহেতু চূড়ান্ত ফলাফলের পূর্বে ক্যাডার পছন্দক্রমের সুযোগ দিতে হবে। পরবর্তী সকল বিসিএস থেকে ভাইভার পূর্বে পুনরায় পছন্দের সুযোগ দিতে হবে। ৭। চূড়ান্ত ফলাফলের আগে প্রাক-যাচাই প্রক্রিয়ার পরিকল্পনা থেকে সরে আসতে হবে। ফৌজদারি মামলা ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার সুস্পষ্ট অভিযোগ ব্যতীত চূড়ান্ত সুপারিশপ্রাপ্ত কারোর গেজেট আটকানো যাবে না। ৮। "নন ক্যাডার বিধি-২০২৩" বাতিল করে বিসিএস ভাইভায় উত্তীর্ণ সকলের চাকরির বন্দোবস্ত করতে হবে। এই আট দফা দাবি না মানা হলে আরও তীব্র আন্দোলনের ঘোষণা দেন উপস্থিত শিক্ষার্থীরা।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন