সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যেকোনো স্মার্টফোনের কার্যক্ষমতা কমতে থাকে। তন্মধ্যে রয়েছে- বাহ্যিক সৌন্দর্য নষ্ট হওয়া, ব্যাটারি লাইফ কমাসহ অন্যান্য অভ্যন্তরীণ কাজের গতি ইত্যাদি। তাই বলে, বছর বছর কো আর নতুন ডিভাইস কেনা সহজ নয়। তাই দীর্ঘদিন স্মার্টফানকে ভালো ও কার্যক্ষম রাখতে কী করতে হবে, তা জানিয়েছে প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট মেকইউজঅব-
► স্মার্টফোন রিস্টার্ট দেওয়ার উপকারিতা আছে। ব্যবহারের কারণে ফোনে ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপ জমা হয়, যা ডিভাইসের গতি কমিয়ে দেয়। ফলে স্মার্টফোন ধীরগতি, হ্যাং হওয়ার মতো সমস্যার সম্মুখীন হয়। রিস্টার্ট অস্থায়ী ফাইল মুছে দেয়, অব্যবহৃত অ্যাপ বন্ধ হয় এবং সিস্টেম রিফ্রেশ হয়। তাই সপ্তাহে অন্তত একবার রিস্টার্ট দিতে পারেন।
► স্মার্টফোনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ- ব্যাটারি। এটি ছাড়া ফোন অচল। তাই ব্যাটারির যত্ন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। ব্যাটারি একবারে শূন্য করে চার্জ না দেওয়া, সেলফোন সরাসরি সূর্যের নিচে বা গরম পরিবেশে ব্যবহার না করা, ফোনের ডিসপ্লে ব্রাইটনেস কমিয়ে রাখা, অপ্রয়োজনে ইন্টারনেট সংযোগ চালু না রাখা এবং ৮০-৯০ শতাংশ চার্জ হলেই চার্জার খুলে ফেলা স্মার্টফোনের ব্যাটারি লাইফ বাড়ায়।
► সময়ের সঙ্গে ফোনের বিভিন্ন অংশে ধুলো জমে। ফলে মাইক্রোফোন, স্পিকার, ক্যামেরা, চার্জের পয়েন্ট ঠিকমতো কাজ না করা এমনকী এসব ডিভাইসের ক্ষতির কারণ হতে পারে। তাই ফোনের ডিসপ্লে, ক্যামেরা লেন্স, চারপাশ, চার্জিং পোর্ট, স্পিকার গ্রিল ও হেডফোন জ্যাক নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে হবে। ফোন কেসের ভেতরও ময়লা জমতে পারে, সেটাও পরিষ্কার করতে হবে।
► ফোনে পুরনো ফাইল ও অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ ডিলিট না করলে স্টোরেজ পূর্ণ হয়ে যেতে পারে। ফোনের ইন্টারনাল মেমোরি ভরে গেলে, অপারেটিং সিস্টেম ঠিকমতো কাজ করার স্পেস পায় না, যা ফোনের কর্মক্ষমতা ধীর করে দিতে পারে। ফোনের স্টোরেজ ফ্রি করতে গ্যালারি, অ্যাপ ড্রয়ার ও ডাউনলোডস ফোল্ডার থেকে অপ্রয়োজনীয় ফাইল ও অ্যাপগুলো ডিলিট করতে হবে।
► ফোনে সফটওয়্যার আপডেট করা রয়েছে কিনা, সেটিংসে গিয়ে তা দেখা যায়। আর হ্যা, আপনার ফোনের পারফরম্যান্স ভালো করার জন্য নিয়মিত আপডেটে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আসে, যেমন রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট উন্নত হয় ও ফোনের গতি দ্রুত হয়।