বসুন্ধরা ক্রিকেট নেটওয়ার্কে যুক্ত হয়েছেন বিশ্ব বিখ্যাত ক্রিকেট কোচ রিচার্ড পাইবাস। দেশের ক্রিকেট উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে ও নতুন তারকা তৈরি করতে বসুন্ধরা ক্রিকেট নেটওয়ার্কের ডেভেলপমেন্ট ও ট্রেনিং পরিচালক হিসেবে তরুণ ক্রিকেটারদের শেখানোর পাশাপাশি পুরো কোচিং স্টাফকে কোচিং স্টাইল বুঝিয়ে দিচ্ছেন এই ইংলিশ কোচ।
রিচার্ড পাইবাস ২০১২ সালে সাকিব-তামিমদের হেড কোচ ছিলেন। পাকিস্তান জাতীয় দল ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডে কাজ করেছেন রিচার্ড, তাকেই ইংল্যান্ড থেকে উড়িয়ে এনেছে বসুন্ধরা গ্রুপ।
বসুন্ধরা ক্রিকেট নেটওয়ার্কের বিশ্বমানের সুযোগ-সুবিধা দেখে মুগ্ধ রিচার্ড পাইবাস। তিনি জানান, এমন সুযোগ-সুবিধায় অনুশীলন করতে পারলে এই ক্রিকেট একাডেমি থেকে নতুন নক্ষত্রের খোঁজ পাবে বাংলাদেশ।
বসুন্ধরা ক্রিকেট নেটওয়ার্কের হেড কোচ আখিনুর জামান রসু জানান, ক্রিকেট শিক্ষায় এত বেশি সুযোগ-সুবিধা দেশে আর কোথাও নেই। তিনি বলেন, একাডেমি বা একটা ইনস্টিটিউশন করতে গেলে যে ধরনের একটা সুযোগ-সুবিধা দরকার, এখানে সব রয়েছে।
এখানে ইনডোর ফ্যাসিলিটি, পর্যাপ্ত পরিমাণে বোলিং মেশিন ও বল রয়েছে। সেই সঙ্গে ট্রেনিং ড্রিল করানোর জন্য যে ধরনের ফ্যাসিলিটি ও সরঞ্জাম প্রয়োজন তা রয়েছে এখানে।
বসুন্ধরা একাডেমিতে অনুশীলন করতে আসা ক্রিকেটাররাও পাইবাসের মতো বিশ্বমানের কোচ পেয়ে অভিভূত। তারা বলছেন, সব ইনডোর-আউটডোর সুযোগ-সুবিধা, বিশ্বমানের কোচ, বড় এবং উন্নত মাঠ সব কিছু মিলিয়ে আমরা বসুন্ধরাকে ধন্যবাদ দিতে চাই।
আরেক ক্রিকেটার বলেন, বসুন্ধরা স্পোর্টস কমপ্লেক্সে আমাদের অনুশীলনের জন্য যে সুযোগ-সুবিধা রয়েছে সেগুলো বিশ্বমানের। আইসবাথ অনেক জায়গায় পাওয়া যায় না, তবে আমাদের এখানে রয়েছে।
বসুন্ধরা ক্রিকেট নেটওয়ার্কের ইনডোর ফ্যাসিলিটি, ম্যাচ প্র্যাকটিসের জন্য গ্রাউন্ড আর ব্যাট-বলের প্রস্তুতি সারতে একাডেমির ক্রিকেটারদের জন্য রয়েছে অগণিত প্র্যাকটিস নেটের ব্যবস্থা। পাশেই রয়েছে গোল্ড জিম। যেখানে ফিটনেস নিয়ে কাজের সুযোগ থাকবে খুদে ক্রিকেটারদের।
এ ছাড়া স্টুডেন্টদের জন্য আবাসিক ব্যবস্থা চালু করতে চায় বসুন্ধরা গ্রুপ।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল