প্রবীণ বামপন্থী রাজনীতিক, লেখক, গবেষক ও বুদ্ধিজীবী বদরুদ্দীন উমরের মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার সকাল ১০টার দিকে শেষবারের মতো তাকে শ্রদ্ধা জানাতে সেখানে মরদেহ নেওয়া হয়। শহীদ মিনারে কিছু সময়ের জন্য তার মরদেহটি রাখা হবে।
রাজধানীর শ্যামলীতে স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল সকাল ১০টা ৫ মিনিটে তিনি মারা যান।
১৯৩১ সালে ২০ ডিসেম্বর ভারতের বর্ধমানে জন্মগ্রহণ করেন বদরুদ্দীন উমর। তার বাবা আবুল হাশিম ভারতীয় উপমহাদেশের একজন মুসলিম জাতীয়তাবাদী রাজনীতিবিদ ছিলেন।
বদরুদ্দীন উমর ১৯৫৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনে স্নাতক সম্মান ডিগ্রি অর্জন করেন এবং ১৯৫৫ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।
তিনি ১৯৬১ সালে যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শন, রাজনীতি ও অর্থনীতিতে পিপিই ডিগ্রি নিয়ে দেশে ফিরে আসেন। দেশে ফিরে তিনি ১৯৬৩ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞান বিভাগ প্রতিষ্ঠা করেন এবং শিক্ষাজীবনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন।
গভর্নর মোনায়েম খানের স্বৈরতান্ত্রিক নীতি ও আচরণের প্রতিবাদে ১৯৬৮ সালে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা ছেড়ে রাজনীতি, গবেষণা ও লেখালেখিতে সম্পূর্ণ মনোনিবেশ করেন। পরে ২০০৩ খ্রিস্টাব্দে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল গড়ে তোলেন এবং সভাপতির দায়িত্ব নেন।
ষাটের দশকে বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদী আন্দোলন আর ধর্ম ও রাজনীতি নিয়ে বদরুদ্দীন উমরের লেখা বইগুলো বাংলাদেশের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে সাংস্কৃতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।
তার চিন্তা বুঝতে সহায়ক বিশেষ করে 'সাম্প্রদায়িকতা' (১৯৬৬), 'সংস্কৃতির সংকট' (১৯৬৭), 'সাংস্কৃতিক সাম্প্রদায়িকতা' (১৯৬৯)—তিনটি বই।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ