মিয়ানমারের রাখাইনে মানবিক সহায়তা প্রদানে করিডর নিয়ে যে বিভ্রান্তি ও উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে অনতিবিলম্বে তা নিরসন করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক।
আজ বুধবার গণমাধ্যমে প্রদত্ত এক বিবৃতিতে তিনি এই আহ্বান জানান।
সাইফুল হক বলেন, রাখাইনে করিডর দেওয়া নিয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা আর প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিবের বক্তব্য পরষ্পরবিরোধী। এই ঘটনা সরকারের মধ্যকার সমন্বয়হীনতারও আরেক দৃষ্টান্ত।
বিবৃতিতে তিনি উল্লেখ করেন, মানবিক কারণেই বাংলাদেশ ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে এবং তাদেরকে খাদ্যসহ যাবতীয় মানবিক সহায়তা প্রদান অব্যাহত রেখেছে।অভ্যন্তরীণ সংঘাতে বিধ্বস্ত আরাকান অঞ্চলে মানবিক সাহায্যের ব্যাপারে বাংলাদেশের নিশ্চয়ই সংবেদনশীলতা থাকবে। কিন্তু বাংলাদেশের ভূখণ্ড দিয়ে আরাকান অঞ্চলে করিডর দেওয়ার সাথে বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তার গভীর সম্পর্ক রয়েছে। এ ধরনের করিডর দেওয়া হলে তা বাংলাদেশকে নানা দিক থেকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিতে পারে। মানবিক করিডর ভবিষ্যতে সামরিক করিডরে পরিণত হবারও আশঙ্কা থাকবে।
তিনি বলেন, মিয়ানমারের এই অঞ্চল কেন্দ্র করে দীর্ঘ দিন ধরে পরাশক্তিসমূহের বহুমাত্রিক তৎপরতা রয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছে ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থের বিরোধ। মিয়ানমারের অভ্যন্তরে, বিশেষ করে আরাকান অঞ্চলকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন রাজনৈতিক গ্রুপের বিরোধাত্বক সশস্ত্র তৎপরতাতো রয়েছেই। এরকম একটি পরিস্থিতিতে রাখাইন অঞ্চলে যুদ্ধমান রাজনৈতিক পক্ষগুলোর সাথে বোঝাপড়া ব্যতিরেকে করিডর প্রদানের চিন্তা হবে আত্মঘাতী।
বিবৃতিতে জাতীয় সংসদের অবর্তমানে রাজনৈতিক দলসমূহের সাথে বোঝাপড়া ব্যতিরেকে জাতীয় নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট উদ্যোগ থেকে সরে আসতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ