নির্বাচনি আচরণবিধি যাচাইয়ে আজ বৈঠক করবে নির্বাচন কমিশনের সংশ্লিষ্ট কমিটি। বেলা ৩টায় নির্বাচন ভবনে এ বৈঠক হবে। ইতোমধ্যে আচরণবিধি সংশোধনে একটি খসড়া চূড়ান্ত করেছে সংস্থাটি। সীমানা পুনর্নির্ধারণ, রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন, জাতীয় এবং স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচন প্রস্তুতি, ভোট কেন্দ্র স্থাপন, ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের প্যানেল প্রস্তুত ও তদারকি এবং উপকারভোগী পর্যায়ে আলোচনাবিষয়ক কমিটির সভাপতি নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলামের দপ্তর থেকে জারি করা অফিস আদেশ থেকে বিষয়টি জানা গেছে। এতে উল্লেখ করা হয়েছে, বৃহস্পতিবার (আজ) বেলা ৩টায় ‘সীমানা পুনর্নির্ধারণ, রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন, জাতীয় এবং স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচন প্রস্তুতি, ভোট কেন্দ্র স্থাপন, ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের প্যানেল প্রস্তুত ও তদারকি এবং উপকারভোগী পর্যায়ে আলোচনাবিষয়ক কমিটি’ বৈঠকে বসবে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন নির্বাচন কমিশনার, কমিটির সভাপতি মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার। এদিকে সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আচরণ বিধিমালা সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইতোমধ্যে আচরণবিধির খসড়া তৈরি করেছে সংশ্লিষ্ট কমিটি। নির্বাচন কমিশন আনুষ্ঠানিকভাবে এ খসড়া অনুমোদন করলে সে অনুযায়ী হবে আগামী সংসদ নির্বাচন। এ ক্ষেত্রে আচরণবিধি লঙ্ঘনে প্রার্থিতা বাতিলের বিষয়টি স্পষ্ট করে নতুন দফা যুক্ত করা হচ্ছে। ডিজিটাল প্রচারের সুযোগ রাখা হচ্ছে। পলিথিনের লিফলেট, প্লাস্টিক ব্যানার (পিভিসি ব্যানার) নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। প্রার্থীদের পক্ষে প্রচারে নিষেধাজ্ঞা থাকছে উপদেষ্টাদের জন্যও। ইসি সূত্র জানিয়েছেন, নির্বাচনপূর্ব সময় হিসেবে বর্তমানে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা থেকে ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশের সময়কে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে বিদ্যমান বিধিতে। সংস্কার কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী আচরণবিধি প্রতিপালনে তিনটি সময় প্রস্তাব করা হচ্ছে। নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন সুপারিশ করেছে তিন ভাগে। সংসদের মেয়াদ শেষ থেকে তফসিল ঘোষণা সময়কে ‘নির্বাচনপূর্ব’, তফসিল ঘোষণা থেকে ফলাফল গেজেটে প্রকাশ পর্যন্ত ‘নির্বাচনকালীন’ এবং গেজেট প্রকাশ থেকে ৪৫ দিন পর্যন্ত ‘নির্বাচনপরবর্তী’ উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া মনোনয়নপত্র জমায় প্রার্থীর সঙ্গে পাঁচজনের বেশি থাকতে পারবেন না যুক্ত করা হচ্ছে বিধিতে। পলিথিনের লিফলেট, প্লাস্টিক ব্যানার (পিভিসি ব্যানার) নিষিদ্ধ করা হচ্ছে, প্রার্থীদের পক্ষে প্রচারে নিষেধাজ্ঞা থাকছে উপদেষ্টাদেরও জন্য। ডিজিটাল বা সমাজমাধ্যমে প্রচারের সুযোগ থাকছে; এ ক্ষেত্রে আইডি দিতে হবে রিটার্নিং অফিসারের কাছেও। আর সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার ব্যয় নির্বাচনি ব্যয়ে দেখাতে হবে।
জানা গেছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় উসকানিমূলক ও মানহানিকর বক্তব্য হলে অর্থদে র পাশাপাশি ডিজিটাল/সাইবার সুরক্ষা আইনের আওতায় শাস্তি। মাইকে প্রচারে ৬০ ডেসিবেলের বেশি শব্দ নয়। আচরণবিধি লঙ্ঘনে প্রার্থিতা বাতিলের বিষয়টি স্পষ্ট করে নতুন দফা যুক্ত করা হচ্ছে। দলগুলো আচরণবিধি মানবে, প্রতীক বরাদ্দের আগে ইসিতে প্রত্যয়নপত্র দিতে হবে এবং প্রার্থীও বিধি মানবেন এমন প্রত্যয়নপত্র রিটার্নিং অফিসারের কাছে দিতে হবে। অঙ্গীকার না মানলে বিধিমালার শাস্তি মানতে বাধ্য হবে।