যুক্তরাষ্ট্রের কেনটাকি অঙ্গরাজ্যের লুইসভিলে একটি বড় কার্গো বিমান উড্ডয়নের পরপরই বিধ্বস্ত হয়ে অন্তত তিনজন নিহত ও ১১ জন আহত হয়েছে। নিহতদের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন গভর্নর অ্যান্ডি বেসিয়ার।
মঙ্গলবার স্থানীয় সময় বিকাল ৫টা ১৫ মিনিটে এই ঘটনা ঘটে। খবর অনুসারে, মালবাহী বিমানটি লুইসভিলের মুহাম্মদ আলী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে হনোলুলুর উদ্দেশ্যে উড্ডয়ন করছিল। ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন জানিয়েছে, বিমানটি উড্ডয়নের সময় বাম দিকের ডানায় আগুন ধরে যায় এবং অল্প সময়ের মধ্যেই তা বিস্ফোরণে রূপ নেয়।
প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে, বিমানের বাম ডানায় আগুন জ্বলছে এবং ঘন ধোঁয়ার কুণ্ডলী উঠছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই বিমানটি মাটিতে পড়ে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। কাছের একটি ভবনের ছাদও এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
কেনটাকি গভর্নর বেসিয়ার বলেন, যেসব মানুষ এই দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাদের জন্য আমরা প্রার্থনা চাইছি। তিনি জানান, আগুনের কারণে উদ্ধারকর্মীদের অনেককে নিরাপদ জায়গার আড়ালে থেকে কাজ করতে হচ্ছে। কারণ এখনও সেখানে দাহ্য ও বিস্ফোরক পদার্থের ঝুঁকি রয়েছে।
লুইসভিলের মেয়র ক্রেইগ গ্রিনবার্গ স্থানীয় একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে বলেন, বিমানে থাকা জ্বালানি এখনো বড় ধরনের উদ্বেগের কারণ।
ইউপিএস -এর সবচেয়ে বড় প্যাকেজ হ্যান্ডলিং কেন্দ্র লুইসভিলেই অবস্থিত। প্রতিদিন প্রায় ৩০০ ফ্লাইট পরিচালিত হয় এবং ঘণ্টায় ৪ লাখেরও বেশি পার্সেল এখানে বাছাই করা হয়।
দুর্ঘটনার পর বিমানবন্দরের উত্তর অংশ থেকে ওহাইও নদী পর্যন্ত জরুরি সতর্কতা ও নিজ অবস্থানে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার নির্দেশ জারি করা হয়েছে। বিমানবন্দরটি লুইসভিল শহরের কেন্দ্র থেকে মাত্র ১০ মিনিটের দূরত্বে অবস্থিত। সেখানে অনেক আবাসিক এলাকা, বিনোদন পার্ক ও জাদুঘর রয়েছে।
বিধ্বস্ত বিমানটি ম্যাকডোনেল ডগলাস এমডি–১১ মডেলের। এটি ১৯৯১ সালে নির্মিত হয়েছিল বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষ তদন্ত শুরু করেছে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল