লিবিয়া উপকূলে শরণার্থীদের বহনকারী একটি নৌকায় আগুন ধরে অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছেন। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) জানিয়েছে, রবিবার সুদান থেকে আসা অভিবাসীদের নিয়ে বিপজ্জনক যাত্রাপথে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।
আইওএম মঙ্গলবার জানায়, দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া ২৪ জন অভিবাসীকে চিকিৎসা সহায়তা দেওয়া হয়েছে। আগুন লাগার কারণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা না গেলেও ধারণা করা হচ্ছে, অতিরিক্ত যাত্রী ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে থাকতে পারে।
আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আফ্রিকা থেকে ইউরোপে যাওয়ার পথে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে গিয়ে এটি সর্বশেষ প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা। গত মাসেও ইয়েমেন উপকূলে অভিবাসীবাহী একটি নৌকা ডুবে অন্তত ৬৮ জন নিহত হন এবং বহু মানুষ নিখোঁজ হন। এর আগে, গত আগস্টে দক্ষিণ ইতালির ল্যাম্পেডুসা দ্বীপের কাছে নৌকাডুবিতে ২৭ জন অভিবাসী প্রাণ হারান। গত জুনে লিবিয়া উপকূলে আরও দুটি নৌকাডুবিতে মারা যান বা নিখোঁজ হন অন্তত ৬০ জন।
আইওএম-এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৩ সালে ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবির ঘটনায় ২ হাজার ৪৫২ জন শরণার্থী ও অভিবাসী মারা গেছেন বা নিখোঁজ হয়েছেন। সংস্থাটি বলছে, সমুদ্রে এই ধরনের বিপর্যয় ঠেকাতে আন্তর্জাতিকভাবে দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি।
বর্তমানে লিবিয়ায় সাড়ে ৮ লাখের বেশি অভিবাসী বসবাস করছেন। সাবেক নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফির শাসনামলে দেশটি আফ্রিকার অভিবাসীদের জন্য কর্মসংস্থানের একটি গন্তব্য হিসেবে পরিচিত ছিল। তবে ২০১১ সালে গাদ্দাফির পতনের পর লিবিয়া ইউরোপে পাড়ি জমানোর একটি গুরুত্বপূর্ণ ট্রানজিট রুটে পরিণত হয়েছে।
জাতিসংঘ ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো জানিয়েছে, লিবিয়ায় অনেক অভিবাসী শরণার্থী ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার হচ্ছেন। তাদের অনেকেই নির্যাতন, ধর্ষণ ও চাঁদাবাজির মুখোমুখি হচ্ছেন।
বিডি-প্রতিদিন/শআ