বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দামে টানা পতন অব্যাহত রয়েছে। বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) থেকে শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত টানা তিন দিন ধরে ক্রুড অয়েলের দাম কমেছে।
শুক্রবার সকালে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ১০ সেন্ট কমে দাঁড়ায় প্রতি ব্যারেল ৬৬ দশমিক ৮৯ ডলার এবং যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) তেল ১৩ সেন্ট কমে হয় ৬৩ দশমিক ৩৫ ডলার। সপ্তাহজুড়ে ব্রেন্টের দাম কমেছে প্রায় ১ দশমিক ৮ শতাংশ এবং ডব্লিউটিআই কমেছে ১ শতাংশ।
বিশ্লেষকদের মতে, ওপেক প্লাস জোটের বাড়তি সরবরাহের আশঙ্কা এবং যুক্তরাষ্ট্রে অপ্রত্যাশিতভাবে তেলের মজুত বৃদ্ধি এই পতনের মূল কারণ। মার্কিন জ্বালানি তথ্য প্রশাসন (ইআইএ) জানিয়েছে, গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে অপরিশোধিত তেলের মজুত বেড়েছে ২৪ লাখ ব্যারেল, অথচ ধারণা ছিল বাজারে মজুত কমবে।
এছাড়া, আসন্ন বৈঠকে ওপেক প্লাস সদস্যরা আগামী অক্টোবর থেকে উৎপাদন আরও বাড়ানোর বিষয়টি আলোচনা করতে পারেন। যদি উৎপাদন বাড়ে, তবে বিশ্বের মোট চাহিদার প্রায় ১ দশমিক ৬ শতাংশ সমপরিমাণ অতিরিক্ত তেল বাজারে প্রবাহিত হতে পারে।
তবে বাজারে অনিশ্চয়তা এখনো রয়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউরোপীয় দেশগুলোকে রাশিয়ার তেল আমদানি বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন। যদি রাশিয়ার সরবরাহে কোনো বিঘ্ন ঘটে, তবে বৈশ্বিক তেলের দাম আবারও বেড়ে যেতে পারে।
সামগ্রিকভাবে, সরবরাহ ও মজুতের চাপের কারণে বাজারে তেলের দাম দুর্বল হলেও ভূরাজনৈতিক ঝুঁকি এখনো দামের গতিপথ নির্ধারণে বড় ভূমিকা রাখছে।
সূত্র: রয়টার্স
বিডি প্রতিদিন/আশিক