ঢাকার শাহবাগ থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলম পান্নার জামিন শুনানিতে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে মারধরের শিকার হয়েছেন এক সাংবাদিক। গতকাল বিকালে ঢাকা মহানগর হাকিম হাসিব উল্লাস পিয়াসের আদালতে এ ঘটনা ঘটে। বাংলা আউটলুক নামে একটি গণমাধ্যমের সাংবাদিক মোক্তাদির রশীদ এজলাসে শুনানির আগে মঞ্জুরুল আলম পান্নার কাছে জানতে চান, কারাগারে তাকে নির্যাতন করা হয়েছে কি-না। এ সময় এজলাসের বেঞ্চে বসে থাকা অ্যাডভোকেট মহিউদ্দিন মাহি আসামির সঙ্গে কথা বলার কারণ জিজ্ঞাসা করেন। বিষয়টি নিয়ে তর্ক-বিতর্ক হয় তাদের মধ্যে। এ সময় তাকে আদালত থেকে বের হয়ে যেতে বলেন অ্যাডভোকেট মহিউদ্দিন। ওই সাংবাদিক তার কাছে জানতে চান, আপনি কোর্ট ইন্সপেক্টর কি না, আমাকে বেরিয়ে যেতে বলছেন। বিচারক বললে আমি বেরিয়ে যাব। এরই মাঝে বিচারক এজলাসে ওঠেন। এ সময় একটু দূরে দাঁড়িয়ে থাকা সময় টিভির সাংবাদিক সিয়াম এসে ওই আইনজীবীকে বলেন, উনি বহিরাগত নন, একজন সাংবাদিক। এ কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে বেঞ্চ থেকে লাফ দিয়ে উঠে মহিউদ্দিন নামে ওই আইনজীবী সাংবাদিক সিয়ামের কানের ওপর ঘুসি মারেন। এ সময় সিয়াম তার হাতে থাকা সময় টিভির মাইক্রোফোন উঁচিয়ে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করেন। তবে ওই আইনজীবী তাকে টেনেহিঁচড়ে বাইরে নিয়ে যান। সিয়াম কিছু বুঝে ওঠার আগেই ওই আইনজীবীর কয়েকজন সহযোগী তাকে মারধর শুরু করেন। যে যেভাবে পেরেছেন তাকে মারধর করেন। এতে রক্তাক্ত আহত হন সিয়াম।
আদালত কক্ষে এ পরিস্থিতি দেখে এজলাস থেকে নেমে খাসকামরায় চলে যান বিচারক। এ সময় প্রসিকিউশনের পক্ষে থাকা কাইয়ুম হোসেন নয়ন ওই সাংবাদিককে উদ্ধার করে তাকে সাক্ষীর কাঠগড়ার কাছে নিয়ে যান। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী সাংবাদিক সিয়াম বলেন, ‘কোনো কারণ ছাড়াই বিচারকের সামনে মব সৃষ্টি করে আমাকে মারধর করল কয়েকজন আইনজীবী। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।’ পরে আবার এজলাসে আসেন বিচারক। এরপর শুনানি নিয়ে আদালত লতিফ সিদ্দিকী এবং সাংবাদিক পান্নার জামিন আবেদন নাকচ করে দেন।