জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে ৩৬ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। ১ জুলাই থেকে শুরু হয়ে কয়েক দফায় কর্মসূচি চলবে ৮ আগস্ট পর্যন্ত। গতকাল মগবাজারে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এসব কর্মসূচি ঘোষণা করেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।
তিনি বলেন, জুলাই গণ অভ্যুত্থানের রক্তাক্ত ঐতিহাসিক স্মৃতিকে ধারণ করে আমরা মাসব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করছি। সব শ্রেণি-পেশার মানুষের একটি সর্বজনীন আন্দোলনের মাধ্যমে এই রাজনৈতিক পরিবর্তন ঘটেছে। ফ্যাসিবাদী শাসনের কালো যুগ পেরিয়ে আমরা জাতীয় ঐকমত্যের মাধ্যমে সামনে এগিয়ে যাচ্ছি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এবং কেন্দ্রীয় মিডিয়া ও প্রচার বিভাগের প্রধান অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য, কেন্দ্রীয় মিডিয়া ও প্রচার বিভাগের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, জুলাই সনদ সরকারের প্রতিশ্রুতি। জুলাই ঘোষণাপত্র সরকারকে বাস্তবায়ন করতে হবে। আমরা এই দাবি জানিয়ে যাব। জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে যে সাত দফা দাবি ঘোষণা করা হয়েছে সেখানেও জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্রের দাবি উল্লেখ রয়েছে।
কর্মসূচিগুলো হলো- ১ জুলাই : জুলাই-আগস্ট গণ অভ্যুত্থানে শহীদ, আহত ও পঙ্গুতবরণকারীদের জন্য দেশব্যাপী শাখায় শাখায় দোয়া অনুষ্ঠান।
২-৪ জুলাই : দরিদ্র, অসহায়, দুস্থ ও ইয়াতিমদের মধ্যে খাবার বিতরণ।
৮-১৫ জুলাই : শহীদ ও আহত পরিবারের সঙ্গে জামায়াত নেতাদের সাক্ষাৎ, মতবিনিময় ও দোয়া অনুষ্ঠান।
১৬ জুলাই : রংপুরে শহীদ আবু সাঈদ স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠান।
১৯ জুলাই : জামায়াত ঘোষিত সাত দফা বাস্তবায়নের উদ্দেশে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় সমাবেশ। একই দিন শহীদ পরিবারের জন্য আয়োজিত অনুষ্ঠানে জামায়াত আমিরের অংশগ্রহণ।
২০-২৪ জুলাই : জুলাই-আগস্ট গণ অভ্যুত্থানের মূল উদ্দেশ্য ও গণপ্রত্যাশা পূরণের লক্ষ্যে সেমিনার ও সিম্পোজিয়াম।
২৫-২৮ জুলাই : জুলাই-আগস্ট গণ অভ্যুত্থানের ওপর ডকুমেন্টারি প্রদর্শনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
২৯-৩০ জুলাই : নারী ও ছাত্রীদের উদ্যোগে আলোচনা সভা।
১ আগস্ট : জাতীয় সেমিনার (শহীদ স্মারকের ইংরেজি ও আরবি অনুবাদের মোড়ক উন্মোচন)।
১-৩ আগস্ট : ছাত্রদের উদ্যোগে আলোকচিত্র প্রদর্শনী কর্মসূচি।
৫ আগস্ট : দেশব্যাপী গণমিছিল এবং রাষ্ট্রীয় কর্মসূচিতে জাতীয় ও স্থানীয়ভাবে অংশগ্রহণ।
৬-৮ আগস্ট : সাংবাদিক, শিক্ষক, চিকিৎসক, আইনজীবী, প্রকৌশলী ও আলেম-ওলামাদের অংশগ্রহণে আলোচনা সভা।