রংপুরে চিকিৎসায় অবহেলার কারণে আবারও এক নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, আগেই সিলগালা করা একটি ক্লিনিক নতুন নামে চালু করে চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনার সময় এ ঘটনা ঘটে।
‘স্বপ্ন’ নামের ক্লিনিকটি আগে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে সিলগালা করা হয়। পরে সেটি নাম পরিবর্তন করে ‘নিউ স্বপ্ন ক্লিনিক’ হিসেবে পুনরায় কার্যক্রম শুরু করে। সোমবার (২৯ জুলাই) ওই ক্লিনিকে নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে। অভিযোগের ভিত্তিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত ক্লিনিকটির অপারেশন থিয়েটার সিলগালা করে এবং এক লাখ টাকা জরিমানা করে। জরিমানার টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটির এক কর্মীকে এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার রংপুর শহরের ধাপ শ্যামলী লেনে অবস্থিত ‘নিউ স্বপ্ন ক্লিনিক’-এ তদন্ত চালানো হয়। জানা যায়, ২৬ জুলাই ওই ক্লিনিকে এক প্রসূতির অস্ত্রোপচার করা হয়, এবং অস্ত্রোপচারের পর নবজাতকটি মারা যায়। এর আগে ১৩ জুন একই ক্লিনিকে নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছিল। ১৬ জুন রংপুরের তিনটি ক্লিনিকে অভিযান চালিয়ে প্রতিটিকে দুই লাখ টাকা করে জরিমানা এবং অপারেশন থিয়েটার সিলগালা করে দেওয়া হয়।
রংপুরের সিভিল সার্জন ডা. শাহিন সুলতানা জানান, গত শনিবার পীরগাছা উপজেলার এক প্রসূতি নারী প্রচণ্ড প্রসবব্যথা নিয়ে ওই ক্লিনিকে ভর্তি হন। সেখানে কোনো শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ উপস্থিত ছিলেন না এবং সিজারের জন্য পর্যাপ্ত পরিবেশও ছিল না। তিনি বলেন, ‘এটি স্পষ্টতই চিকিৎসায় অবহেলার ঘটনা। ক্লিনিকটির লাইসেন্স নবায়ন ছিল না।’
তিনি আরও জানান, পূর্বে ক্লিনিকটির মালিক ছিলেন রফিকুল ইসলাম। পরে নতুন নামে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করা হয়, যেখানে চেয়ারম্যান হিসেবে রফিকুলের স্ত্রী সাহিবা জুননুরাইনকে দেখানো হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক সোমবার ক্লিনিকটি পুনরায় সিলগালা করেন এবং একজনকে কারাদণ্ড দেন।
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ