যশোর শহরের মণিহার সিনেমা হলের সামনে ফল পট্টির একটি বাড়ি থেকে সুলতানা খালেদা সিদ্দিকা রুমী (৬২) নামে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। একই বাড়ি থেকে নিহতের পালিত ছেলে শেখ শামসকে আটক করা হয়েছে। নিহত রুমী ওই এলাকার মৃত শেখ শাহজাহানের স্ত্রী।
স্থানীয়রা জানান, পুলিশ শনিবার বিকেল তিনটার দিকে ওই নারীর বাড়ির দোতলার ঘরের ভেতর থেকে রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে। এসময় পাশেই একটি বাঁশের লাঠি পড়ে থাকতে দেখা যায়। বাড়ির আরেক ঘরে নিহত সুলতানা খালেদা সিদ্দিকা রুমীর পালিত ছেলে শামস ছিলো। তাকে পুলিশ আটক করে।
যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি আবুল হাসনাত জানান, পালিত ছেলেই তার মাকে খুন করেছে বলে প্রাথমিকভাবে প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। সে কারণে শামসকে আটক করা হয়েছে।
প্রতিবেশীরা জানান, শুক্রবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে সুলতানা খালেদার বাড়ি থেকে চিৎকার, চেচামেচির শব্দ শুনতে পেয়েছিলেন তারা। তবে গভীর রাত হওয়ায় কেউ সেখানে যাননি। ধারণা করা হচ্ছে, শুক্রবার রাত তিনটার দিকেই বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে মাকে হত্যা করেন শামস। এরপর মরদেহ উদ্ধার হওয়া পর্যন্ত অর্থাৎ শনিবার বিকেল তিনটা পর্যন্ত ১২ ঘন্টা একই বাড়িতে অবস্থান করছিলেন তিনি।
নিহত সুলতানা খালেদার বাড়ির নীচতলার ভাড়াটিয়া ফল ব্যবসায়ী নাসির বলেন, সকালে বিল্ডিংয়ে পানি না থাকায় তিনি দোতলায় সুলতানা খালেদাকে বিষয়টি জানাতে দোতলায় গিয়েছিলেন। কিন্তু ছেলে শামস জানায় যে তার মা খুলনায় গেছে। দুপুরে আবার তিনি পানির মেশিন ছাড়ার জন্য দোতলায় গেলে শামস অসংলগ্ন কথা বলতে থাকেন। এরপর তারা ৯৯৯ এ ফোন করলে যশোর সদর ফাঁড়ির এএসআই আব্দুল বাতেন পুলিশের একটি টিম নিয়ে ওই বাড়িতে গিয়ে সুলতানা খালেদার রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেন।
সুলতানা খালেদার ছেলে এসএম মাহমুদ জানান, তার নিঃসন্তান খালার কোন সন্তান ছিল না। শামসকে তিন মাস বয়স থেকে পালিতপুত্র হিসেবে লালন-পালন করেন। এসএম মাহমুদ বলেন, সম্প্রতি শামস মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছিল। সবাই এটা বুঝতে পেরেছিল, কিন্তু তাকে মাদক থেকে ফেরানো যাচ্ছিল না।
বিডি প্রতিদিন/এএম