বর্ণিল শোভাযাত্রা ও নানা আয়োজনে যশোরে বাংলা বর্ষবরণ উৎসব পালিত হয়েছে। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় শহরের কালেক্টরেট চত্বর থেকে শুরু হওয়া আনন্দ শোভাযাত্রায় ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সব শ্রেণিপেশার মানুষ এ শোভাযাত্রায় অংশ নেন।
এর আগে, বাংলাদেশে বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রার উদ্যোক্তা শিল্পী মাহবুব জামাল শামীমকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সম্মাননা ক্রেস্ট ও নগদ অর্থ প্রদান করা হয়।
এদিকে, সকাল সাড়ে ৮টা থেকেই শহরের নানা প্রান্ত থেকে বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মী ও সদস্যরা বর্ণিল সাজে সেজে কালেক্টরেট চত্বরে জড়ো হতে থাকেন। ঢোলের তালে তালে নেচে-গেয়ে তারা মাতিয়ে তোলেন কালেক্টরেট প্রাঙ্গণ। আবহমান বাংলার চিরায়ত ঐতিহ্যের সঙ্গে মিল রেখে তারা সেজেছিলেন জেলে, কামার, কুমোর, কৃষক, বাউল, রাজা-রানি প্রভৃতি।
সকাল সাড়ে ৯টায় সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্যদিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলা ১৪৩২ সন বরণ করা হয়। এরপর পরিবেশন করা হয় ‘এসো হে বৈশাখ এসো এসো’। সঙ্গে সঙ্গে বর্ষবরণ মঞ্চে ওঠেন জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম, পুলিশ সুপার রওনক জাহান, বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক
সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন ও জেলা পরিষদের সিইও আসাদুজ্জামান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পরে বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু হয়। এবারের শোভাযাত্রায় পরিবেশ রক্ষার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। সে কারণে র্যালিতে অংশগ্রহণকারীরা গাছ, পাহাড়, নদী, পাখ-পাখালির প্রতিকৃতি নিয়ে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। শোভাযাত্রাটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে যশোর ইন্সটিটিউট চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।
এদিকে ভোর থেকেই নবকিশলয় স্কুল, পৌরপার্ক, চারুপীঠ চত্বরসহ শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো আলাদা আলাদা বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এসব অনুষ্ঠানে কবিতা, নাচ, গান, জারি, সারি, ভাটিয়ালিতে নতুন বছরকে স্বাগত জানানো হয়।
সকালে জেলা প্রশাসকের বাসভবনে আয়োজন করা হয় পান্তা উৎসবের। মূল শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়ার পাশাপাশি আলাদাভাবে পান্তা উৎসব ও র্যালির আয়োজন করে জেলা বিএনপি।
বিডি প্রতিদিন/মুসা