রংপুর নগরীর রেলওয়ে স্টেশনের সামান্য পূর্বদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অবস্থান। পানি উন্নয়ন বোর্ডের আগের নাম ছিল ওয়াপদা। ১৯৫৮ সালে ২৩ একর জমির ওপর এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। বিশাল এলাকাজুড়ে এই দপ্তরের অধিকাংশ এলাকা সবুজ বৃক্ষে আচ্ছাদিত। এই ক্যাম্পাসে একটি গেস্ট হাউস রয়েছে। এর সামনে রয়েছে দুর্লভ প্রজাতির কপসিয়া গাছ। এ গাছে এখন ফুল ফুটেছে। প্রকৃতি প্রেমি অনেকেই এই কপসিয়া ফুল দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন।
কপসিয়া গাছ ও ফুল সম্পর্কে জানা গেছে, কপসিয়া (Kopsia fruticosa) বিদেশি প্রজাতির গাছ। কোনো এক সময় আমাদের দেশে প্রবেশ করে। খুব একটা বড় ধরনের গাছ নয় এটি। পাতা প্রতিমুখ, পুরু ও পত্রফলক ১৬ থেকে ২০ সেন্টিমিটার হয়ে থাকে। ফুল ক্রিম-সাদার ওপর লালচে বেগুনি বা গোলাপির পোঁচযুক্ত। পাপড়ি সংখ্যা ৫ পর্যন্ত হয়ে থাকে। কেন্দ্রে একটি লাল ফোঁটা আছে। বৃতি ক্ষুদ্র। দলমন্ডল থলের মতো, গলদেশ রোমশ, নল সরু, অনূর্ধ্ব সাড়ে তিন সেমি লম্বা ও স্ফীত। গর্ভকেশর ২টি ও স্বতন্ত্র। ফল ঠোঁটের মতো বাঁকানো। ফুল অনেক দিন সতেজ থাকে। কপসিয়া মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, চীন, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় সহজলভ্য হলেও আমাদের দেশে কিছুটা দুর্লভ।
বাংলা একাডেমির সহপরিচালক এবং বেগম রোকেয়া স্মৃতিকেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কৃষিবিদ আবিদ করিম মুন্না জানান, কপসিয়া চমৎকার একটি ফুল। বাংলা একাডেমিতে প্রথম দেখি অনেক আগে। এই শহরে রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড গেস্ট হাউসে পুরনো একটি গাছ চোখে পড়লো। কাটিং পদ্ধতিতে বংশবিস্তার সহজেই করা যায়। এটি অনেকটা দুর্লভ প্রজাতির।
রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (পুর) আহসান হাবিব বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রয়েছে। এর মধ্যে বেশকিছু গাছ দুর্লভ প্রজাতির রয়েছে বলে শুনেছি। এখানে নিয়মিত বৃক্ষ পরিচর্যা করা হয়। ফলে অনেক পুরনো বৃক্ষ এখনো সতেজ রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই