ত্বক সুরক্ষায় প্রসাধনী বা পরিচর্যার দিকে আমরা ঠিকই মনোযোগ দিই, কিন্তু আমাদের দৈনন্দিন ব্যবহৃত অথচ উপেক্ষিত সঙ্গী তোয়ালের যত্নের কথা প্রায়ই ভুলে যাই। সামান্য অসতর্কতায় এই তোয়ালে আপনার ত্বকের ক্ষতির কারণ হতে পারে, কেননা এটিই আপনার ত্বকের সবচেয়ে কাছাকাছি আসে। সুস্থ ও সুন্দর ত্বক বজায় রাখতে তাই তোয়ালের সঠিক ব্যবহার ও যত্ন সম্পর্কে জানা জরুরি।
ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে হলে প্রতিটি কাজের জন্য আলাদা তোয়ালে রাখা বাঞ্ছনীয়। গোসল করা (বাথ টাওয়েল), মুখ মোছা (ফেস টাওয়েল) এবং হাত মোছার (হ্যান্ড টাওয়েল) জন্য অবশ্যই পৃথক তোয়ালে ব্যবহার করতে হবে। তন্মধ্যে মুখের ত্বক- যেহেতু সবচেয়ে সংবেদনশীল, তাই মুখ মোছার তোয়ালের বিশেষ যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। এটি প্রতিদিন ধুয়ে ফেলতে হবে। জীবাণু সংক্রমণ বা তোয়ালে ভিজে থাকার সমস্যা এড়াতে- দুটি তোয়ালে ব্যবহার করা এবং সেগুলো অদলবদল করে ব্যবহার করা ভালো। মুখ মোছার জন্য নরম ও মোলায়েম তোয়ালে নির্বাচন করা উচিত।
অন্যদিকে হাত মোছার তোয়ালে একদিন পর পর ধুয়ে ফেলুন। এর বিপরীতে বাথ টাওয়েল বা গোসলের তোয়ালে দিয়ে প্রায় সপ্তাহখানেক পর্যন্ত কাজ চালানো যেতে পারে, তবে এটি যেন কোনো অবস্থাতেই মুখ মোছার কাজে ব্যবহার না করা হয়।
তোয়ালে পরিষ্কার ও যত্নের নিয়মাবলি
► তোয়ালে, বিশেষ করে বাথ টাওয়েল সবসময় হালকা গরম পানি দিয়ে ধোয়া উচিত। এতে তোয়ালে ভালো পরিষ্কার এবং জীবাণুনাশ সহজ হবে।
► প্রতিবার ধোয়ার পর জীবাণুনাশক লিকুইড ডিটারজেন্ট ব্যবহার করে ধুতে হবে, যা ব্যাকটেরিয়া দূর করে।
► তোয়ালে শুকানোর জন্য রোদযুক্ত পরিষ্কার স্থান নির্বাচন করুন। সূর্যের আলো- অর্থাৎ অতিবেগুনি রশ্মি অবশিষ্ট জীবাণু মারতে সাহায্য করে।
► তোয়ালে ধোয়ার পর ইস্ত্রি করে নিলে এটি অনেক দিন পর্যন্ত নরম ও মোলায়েম থাকবে, ভাঁজে থাকা জীবাণুও দূর হবে।
► হাত ও মুখ মোছার তোয়ালে প্রতি ৩ মাস পর পর বদলে ফেলুন। গোসল করার তোয়ালে এক বছর ব্যবহার করা যায়।
► বাজার থেকে তোয়ালে কিনে প্রথমে গরম পানিতে ধুয়ে নিন। এতে তোয়ালের আলগা ধুলা, অতিরিক্ত রং ও সিলিকন জাতীয় রাসায়নিক দূর হয়ে যাবে।
► ব্যবহারের পর ভেজা তোয়ালে কখনোই গোসলখানায় বা স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে রাখা উচিত নয়, বরং তা সঙ্গে সঙ্গে শুকানোর জন্য মেলে দিন।
লেখা : উম্মে হানি