গত মৌসুমে পিএসজির চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ী দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন জিয়ানলুইজি ডোনারুম্মা। পিএসজির ইতিহাসে প্রথম ও বহুল কাঙ্ক্ষিত ইউরোপ সেরার মুকুট অর্জনে গোলবারের নিচে অতন্দ্র প্রহরী ছিলেন এই ইতালিয়ান গোলরক্ষক। কিন্তু এরপরেও অভ্যন্তরীণ নানা ইস্যুতে পিএসজির সঙ্গে ডোনারুম্মার সম্পর্ক ক্রমশ খারাপ হতে থাকে। কোচ লুইস এনরিকের সঙ্গেও তার বোঝাপড়ার অবনতি হয়েছে বলেও গুঞ্জন রটতে থাকে।
শেষ মৌসুমে লিলের গোলরক্ষক ২৩ বছর বয়সী লুকাস শেভালিয়ারকে দলে ভেড়ায় পিএসজি। এরপরই কোচ লুইস এনরিক স্পষ্ট জানিয়ে দেন, নতুন মৌসুমে শেভালিয়ারই হবে তার প্রথম পছন্দের গোলরক্ষক। তাই সপ্তাহ তিনেক আগে পিএসজি ছাড়ার ঘোষণা দেন ডোনারুম্মা।
সেই থেকে কানাঘুষা চলছিল যে, তার পরবর্তী ক্লাব হতে পারে ইংলিশ জায়ান্ট ম্যানচেস্টার সিটি। কারণ ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক এডারসন কিছুটা অফফর্মে চলে যাওয়ার তার সঙ্গে আর চুক্তি বাড়ায়নি সিটিজেনরা। তাই তুরস্কের ক্লাব ফেনারবাচে হতে পারে এডারসনের পরবর্তী গন্তব্য।
অবশ্য আগে ধারণা করা হয়েছিল যে, ক্লাবের নিয়মিত গোলরক্ষক এডারসন চলে না গেলে ডোনারুম্মা সিটিতে যোগ দেবেন না। কিন্তু বর্তমানে এডারসনের তুরস্কে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল হওয়ায় ডোনারুম্মার সিটিতে আসার পথ আরও সুগম হয়েছে।
এদিকে, শেষ মৌসুম বার্নলির গোলরক্ষক জেমস ট্র্যাফোর্ডকে দলে ভিড়িয়েছিল ম্যানসিটি। এখন পর্যন্ত সিটির হয়ে তিনটি প্রিমিয়ার লিগের প্রতিটি ম্যাচে মাঠে নেমেছেন ট্র্যাফোর্ড। কিন্তু সিটির কোচ পেপ গার্দিওয়ালার মন জয় করতে ব্যর্থ হয়েছেন এই ইংলিশ গোলরক্ষক। তাই ডোনারুম্মার সিটির আসার অঙ্ক এখন দুইয়ে দুইয়ে চার মিলে গেছে।
ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা পিএ’র দাবি, ডোনারুম্মাকে দলে ভেড়াতে ইতোমধ্যে একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে ম্যানসিটি। এখন কেবল আনুষ্ঠানিক ঘোষণার অপেক্ষা।
বিডি প্রতিদিন/কেএ