সিলেট টেস্ট শেষ। এখন চট্টগ্রাম টেস্টের অপেক্ষা। পুণ্যনগরীর টেস্টে ফেবারিট ছিলেন নাজমুলরা। কিন্তু বাজে ব্যাটিংয়ের খেসারত গুনেছেন। জিম্বাবুয়ের কাছে একদিন আগেই হেরেছে নাজমুল বাহিনী। দুই টেস্ট সিরিজের প্রথমটি জিতে এগিয়ে গেছে শিন আরভিনের জিম্বাবুয়ে। সোমবার শুরু চট্টগ্রাম টেস্ট। বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লে. মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে (আগের নাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম) সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট খেলতে গতকাল বন্দরনগরী চট্টগ্রামে পা রেখেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। একই বিমানে চট্টগ্রাম গেছে জিম্বাবুয়েও। বন্দরনগরীতে দুই দল লাল বল ও সাদা পোশাকে খেলবে ২০১৪ সালের পর। এগারো বছর আগের টেস্ট ম্যাচটি বাংলাদেশ জিতেছিল ১৮৬ রানে। এই মাঠে অবশ্য টাইগারদের আরও একটি টেস্ট জয়ের রেকর্ড রয়েছে। ২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জিতেছিল ৬৪ রানে। সব মিলিয়ে এই ভেন্যুতে টাইগাররা ২৫ টেস্ট খেলে জিতেছে সাকল্যে দুটি এবং হেরেছে ১৬টি এবং সাতটি ড্র করেছে। সিরিজে ফিরতে মরিয়া নাজমুল বাহিনীর স্কোয়াডে পরিবর্তন এসেছে। ওপেনাররা রান করতে পারছেন না বলে ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেটের চলতি মৌসুমে চারটি সেঞ্চুরি হাঁকানো এনামুল হক বিজয় সুযোগ পেয়েছেন। সর্বশেষ ১৭ ইনিংসে পঞ্চাশ ঊর্ধ্ব ইনিংস না থাকার পরও সুযোগ পেয়েছেন ওপেনার মাহামুদুল হাসান জয়। সিলেটে উভয় ইনিংসে ৪ রান করে করা মুশফিকুর রহিমকেও রাখা হয়েছে। সিলেট টেস্টের স্কোয়াডে নাহিদ রানা ও জাকির হাসানকে বাদ দেওয়া হয়েছে। নাহিদকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। নেওয়া হয়েছে এনামুল বিজয় ও বাঁ হাতি স্পিনার তানভীর ইসলামকে। তানভীরের অন্তর্ভুক্তিতে পরিষ্কার উইকেটে স্পিনাররা সুবিধা পাবেন। ১৫ সদস্যের স্কোয়াডে চার পেসারের জায়গায় চট্টগ্রামে তিনজন। স্পিনার চারজন।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এ নিয়ে ১১তম সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে খেলছে পঞ্চম। আগের ১০ সিরিজে দুই দল ৪ বার করে জিতেছে। দুটি ড্র হয়েছে। সব মিলিয়ে ১৯ টেস্টে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ের জয় ৮টি করে।