রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় মাদকসংশ্লিষ্ট বিষয়ের জের ধরে দুজনকে খুন করা হয়েছে। তারা হলেন- শাহবাগে মোবারক (১৮) ও বাড্ডায় আনোয়ার হোসেন (৪০)। পুলিশ বলছে, মাদকের টাকা পরিশোধ না করায় ছুরিকাঘাতে খুন করা হয় মোবারককে এবং মাদক বিক্রির টাকার দ্বন্দ্বে গুলি করে হত্যা করা হয় আনোয়ারকে। গতকাল বিকালে শাহবাগ থানার শিশুপার্কের সামনের ফুটওভার ব্রিজের নিচে মাদকের টাকা পরিশোধ না করায় মোবারককে ছুরিকাঘাত করা হয়। মুমূর্ষু অবস্থায় ওই যুবককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের চাচাতো ভাই রবিউল বলেন, তাদের বাড়ি হবিগঞ্জে। মোবারকের বাবার নাম আবদুল মোনাফ। মোবারক ভাসমান অবস্থায় শাহবাগ মেট্রো রেল স্টেশনের নিচে থাকত। এক সপ্তাহ আগে লামিয়া নামে এক মেয়েকে বিয়ে করে। নবী নামে এক ব্যক্তি মাদক বিক্রি করে। এক সপ্তাহ আগে মোবারক ওই নবীর কাছ থেকে ৪ হাজার টাকার মাদক নেয় বিক্রির জন্য। তবে সে টাকা দিচ্ছিল না নবীকে।
এরই জের ধরে রবিবার বিকালে রাতুল, রাজুসহ ৪-৫ জনকে মোবারকের কাছে টাকা আনতে পাঠায় নবী। শিশুপার্ক ওভার ব্রিজের নিচে মোবারকের কাছে টাকা চায় তারা। মোবারক এখন টাকা দিতে পারবে না বলে জানায়। এ বিষয় নিয়ে তর্কাতর্কির একপর্যায়ে রাজু ও রাতুল মোবারকের শরীরের কয়েক জায়গায় ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।
এদিকে বাড্ডায় মাদক বিক্রির টাকা ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে গুলিবিদ্ধ আনোয়ার হোসেনের মৃত্যু হয়েছে। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর ১ মাস ৮ দিন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর গতকাল ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে তিনি মারা যান। নিহতের খালাতো ভাই আবদুল জব্বার জানান, আনোয়ারের বাড়ি বরিশালের হিজলায়। বাবার নাম আবুল কালাম। এক ছেলে ও স্ত্রী গ্রামের বাড়িতে থাকেন। বর্তমানে আনোয়ার ও জব্বার বাড্ডার বৈঠাখালী এলাকায় থাকেন। গত ৮ মে রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাড্ডা আনন্দনগর টেকপাড়া এলাকায় দুর্বৃত্তরা তাকে লক্ষ্য করে একাধিক গুলি করে। তাকে ঢামেক হাসপাতালসহ কয়েকটি হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়। সবশেষ তাকে ১২ জুন ফের ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। এলাকায় মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আনোয়ারের দ্বন্দ্ব চলছিল। এরই জের ধরেই স্থানীয় মাদক কারবারি নয়ন, সালাউদ্দিন, দেলোয়ারসহ আরও কয়েকজন মিলে তাকে গুলি করেছিল। স্বজনরা বলছেন, চিহ্নিত সন্ত্রাসী নুরা পাগলা, শুটার সালাউদ্দিন, ছিনতাইকারী মাহিন, ইউসুফ, নয়নসহ কয়েকজন মিলে আনোয়ারকে বেধড়ক মারধর এবং গুলি করে হত্যা করে।