সুসুকা গার্মেন্টস নামে একটি কোম্পানির শত শত কোটি টাকার বন্ডের কর ফাঁকি ও জালিয়াতির তথ্য প্রমাণ পেয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআর। এ বিষয়টি নিয়ে রীতিমতো হইচই পড়ে গেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, উক্ত প্রতিষ্ঠান গত তিন বছরে প্রায় শত কোটি টাকার কর ফাঁকি দিয়ে আসছে। বিষয়টি জানাজানি হলে প্রতিষ্ঠানের পরিচালক মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম টাকা দিয়ে তদন্তাধীন ফাইলটি গায়েব করে ফেলেন।
ঢাকার আশুলিয়াতে অবস্থিত এ প্রতিষ্ঠানটির কর্ণদার আবু জাফর চৌধুরী এবং এটি পরিচালনা ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে রয়েছেন আবু জাফর চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ মনিরুল ইসলাম নামের জনৈক ব্যক্তি। যার নামে অর্থ আত্মসাৎ, জালজালিয়াতি, প্রতারণা, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্রদেরকে গুলি করে হত্যা করাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। অথচ এখনও গ্রেফতার হননি তিনি। তাদের বিরুদ্ধে আরও গুরুতর অভিযোগ হচ্ছে, তারা প্রতারণা করে মার্কেন্টাইল কো-অপারেটিভ নামের একটি সমবায় প্রতিষ্ঠানকে মার্কেন্টাইল কো-অপারেটিভ ব্যাংক নামে সারাদেশে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক বহুবার জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় তাদেরকে ব্যাংক শব্দটি বাদ দিয়ে সমবায় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন। কিন্তু আবু জাফর ও তার সিন্ডিকেট প্রধান মনিরুল গংরা বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম নীতি তোয়াক্কা না করে গ্রাহকের হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করে বিদেশে পাচার করে আসছে দীর্ঘদিন। এ নিয়ে বহুবার গ্রাহকরা আন্দোলন ও মানববন্ধন করলেও অপরাধীরা এখনও রয়ে গেছেন ধরা ছোঁয়ার বাইরে।
অর্থনীতিবিদ শাহ আলম সিদ্দিকী বলেন, এদেরকে এখনই গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে হবে এবং অপরাধীরা যেন কোনক্রমে বিদেশে পালিয়ে যেতে না পারে সেজন্য দেশ থেকে নিষেধাজ্ঞা দিতে হবে।