নির্যাতনের মাধ্যমে জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষ্য দিতে বাধ্য করায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৪০ জনের নামে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ করা হয়েছে। দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে করা মামলার বাদী ও প্রসিকিউশনের প্রথম সাক্ষী মাহবুবুল আলম হাওলাদার এ অভিযোগ দেন।
পক্ষে অভিযোগটি দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী পারভেজ হোসেন। অভিযোগে ওই মামলায় প্রসিকিউশনের ৭ নম্বর সাক্ষী আলতাফ হাওলাদার ও ৬ নম্বর সাক্ষী মাহতাব উদ্দিন এবং সাক্ষী মধুসুধন ঘরামীর নাতি সুমন্ত মিস্ত্রিকে সাক্ষী করা হয়েছে। শেখ হাসিনা ছাড়াও অন্য আসামিরা হলেন-আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তৎকালীন চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম, সাবেক আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ, সাবেক আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক বিচারক বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবির, পিরোজপুর-১ আসনের এমপি এ কে এম আউয়াল ওরফে সাইদুর রহমানসহ ৪০ জন। পরে এ বিষয়ে তাদের আইনজীবী পারভেজ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, ২০০৯ সালে মাহবুবুলকে ডেকে আল্লামা দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীর বিরুদ্ধে মামলা করতে বলেন সেখানকার তৎকালীন এমপি আউয়াল। তবে রাজি না হওয়ায় তাকে তৎকালীন পিপি কার্যালয়ে তুলে নেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা। এরপর দীর্ঘ নির্যাতনের একপর্যায়ে তার মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে জড়িয়ে সাঈদীর নামে মিথ্যা মামলা দিতে বাধ্য করেন। পরবর্তী সময়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালেও এ মামলার প্রথম সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দিতে বাধ্য করেন। তখনো তাকে যাত্রাবাড়ী থানার অধীনে কথিত সেইফ হোমে এনে ভয়াবহ নির্যাতন চালানো হয়। গত ২১ আগস্ট সাঈদীর পক্ষে সাক্ষ্য দিতে গিয়ে গুমসহ নির্যাতনের দায়ে শেখ হাসিনাসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন সাক্ষী সুখরঞ্জন বালি। অভিযোগের পাশাপাশি তিনি শেখ হাসিনাসহ জড়িতদের বিচার দাবি করেছেন।