‘বিমানবাহিনীর অভ্যন্তরে ‘র’ নেটওয়ার্ক ফাঁস’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বিভ্রান্তিকর তথ্য সম্পর্কে প্রতিবাদলিপি দিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিবাদ জানিয়েছে সংস্থাটি। বিজ্ঞপ্তিতে আইএসপিআর জানায়, ৪ আগস্ট ‘দৈনিক আমার দেশ’ পত্রিকা, এটির ইউটিউব চ্যানেল এবং অনলাইন পোর্টালে ‘বিমানবাহিনীর অভ্যন্তরের ‘র’ নেটওয়ার্ক ফাঁস’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এতে দাবি করা হয়েছে যে, বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর ছয়জন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এয়ার ভাইস মার্শাল এম এ আউয়াল হোসেন, এয়ার ভাইস মার্শাল জাহিদুল সাঈদ, এয়ার কমডোর মোহাম্মদ আমিনুল হক, গ্রুপ ক্যাপ্টেন আবদুল্লাহ আল ফারুক, গ্রুপ ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ শামীম, উইং কমান্ডার সাইয়েদ মোহাম্মদকে বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে শনাক্ত করে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে। উল্লিখিত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ ভিত্তিহীন এবং বিমানবাহিনীর কাছে রক্ষিত তথ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। প্রকৃতপক্ষে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর প্রচলিত বিধিবিধান অনুযায়ী নির্ধারিত চাকরির বয়সসীমা শেষে নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় স্বাভাবিকভাবে অবসর গ্রহণ করেছেন। বিবৃতিতে সংস্থাটি আরও জানায়, প্রতিবেদনটিতে আরও দাবি করা হয়েছে যে, ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট রিফাত আশরাফী ও ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তাহসিফ সুরি নামে দুই কর্মকর্তাকেও একই বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে। বাস্তবে এই দুই কর্মকর্তাকেও বাহিনীর প্রচলিত আইন ও বিধিমালার আওতায় যথাযথ প্রক্রিয়ায় অবসর প্রদান করা হয়েছে, যার সঙ্গে উক্ত অভিযোগের কোনো সম্পর্ক নেই। প্রতিবেদনে প্রকাশিত এ ধরনের অপপ্রচার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিজ ও পরিবারের সামাজিক মর্যাদাকে ক্ষুণ্ন করা ছাড়াও জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে, যা জাতীয় স্থিতিশীলতা ও সশস্ত্র বাহিনীর পেশাদারিত্ব এবং ভাবমূর্তিকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ও অনভিপ্রেত বলেও এতে উল্লেখ করা হয়।