প্রশান্ত মহাসাগরজুড়ে নীরবে সামরিক প্রভাব বিস্তৃত করেছে চীন। ওই মহাসাগরের একটি বিশাল অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে কয়েক ডজন বন্দর, বিমানবন্দর এবং যোগাযোগ প্রকল্প নির্মাণ করেছে এশিয়ার এই পরাশক্তি, যা যুদ্ধের ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্রদের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দিতে পারে অনায়াসেই। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে এমনটিই দাবি করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একটি বাণিজ্যিক বিমান থেকে জরুরি রেডিও সম্প্রচার ছিল প্রথম সতর্কবার্তা। যেখানে বলা হয়েছিল, চীনা সরকার অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের মধ্যে তাদের বিমান পথে লাইভ-ফায়ার মহড়া শুরু করতে চলেছে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই অস্ট্রেলিয়ান কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয় এবং বিমান পরিবহন নিয়ন্ত্রণকারীরা অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যে ৪৯টি বাণিজ্যিক ফ্লাইটের রুট পরিবর্তন করে যাতে তাদের কোনো ক্ষতি না হয়। চীনের পর্যবেক্ষক এবং সাম্প্রতিক বিশ্লেষণ অনুসারে, ২১ ফেব্রুয়ারির ঘটনা, যা ক্যানবেরা এবং ওয়েলিংটনের কর্মকর্তাদের বিচলিত করেছিল। এটি প্রশান্ত মহাসাগরে বেইজিংয়ের সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার একটি ঝলক মাত্র। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, চীনের গোপনে এই নেটওয়ার্ক তৈরি ওয়াশিংটন, ক্যানবেরা এবং টোকিওতে সতর্কতা জোরদার করবে।-দ্য ইপোচ টাইমস ও নিউজ উইক
মার্কিন কমান্ডাররা প্রশান্ত মহাসাগরীয় শক্তি পরিমাপ করেন তিনটি প্রতিরক্ষামূলক আর্ককে নিয়ন্ত্রণ করে, যা বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্রদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। প্রথম দ্বীপ শৃঙ্খল-জাপান তাইওয়ান এবং ফিলিপাইনের মধ্য দিয়ে চীনের উপকূলের কাছে তার বাহিনীকে ঘিরে রেখেছে। দ্বিতীয় দ্বীপ শৃঙ্খলটি রয়েছে গুয়ামে, যেখানে মার্কিন যুদ্ধাস্ত্র মজুত করা হয়। হাওয়াই থেকে আমেরিকান সামোয়া এবং ফিজি পর্যন্ত দক্ষিণে বিস্তৃত। তৃতীয় শৃঙ্খলটি এশিয়া এবং উত্তর আমেরিকাকে সংযুক্ত করে এমন সমুদ্র পথগুলোকে রক্ষা করে। পশ্চিমা পরিকল্পনাকারীদের মতে, বেইজিংয়ের কৌশল হলো প্রথম শৃঙ্খলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রবেশাধিকার অস্বীকার করা, দ্বিতীয় শৃঙ্খলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা এবং তৃতীয় শৃঙ্খলে অবাধে কাজ করা। -দ্য ইপোচ টাইমস ও নিউজ উইক