শিরোনাম
প্রকাশ: ১০:৪৭, রবিবার, ১৫ জুন, ২০২৫ আপডেট: ১২:১৪, রবিবার, ১৫ জুন, ২০২৫

রয়েসয়ে খাওয়ার অভ্যাস ছিল না আওয়ামী লীগের

আনোয়ার হোসেইন মঞ্জু
অনলাইন ভার্সন
রয়েসয়ে খাওয়ার অভ্যাস ছিল না আওয়ামী লীগের

বাংলাদেশের রাজনীতিবিদরা যত দিন পর্যন্ত ‘ক্ষমতায় যাওয়া’র ও ‘দেশশাসন’ করার মতো শব্দগুলো তাঁদের মস্তিষ্ক থেকে বের করে দিতে না পারবেন, তত দিন পর্যন্ত দেশ ও জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটার কোনো সম্ভাবনা নেই। ‘ক্ষমতা’ ও ‘শাসন’ শব্দ দুটির সঙ্গে যে রাজতান্ত্রিক অথবা ঔপনিবেশিক দম্ভ রয়েছে, তা রাষ্ট্রপরিচালনায় জনগণকে তাদের কাক্সিক্ষত অংশীদারত্ব থেকে বঞ্চিত করার ইঙ্গিত দেয়, যাদের কাঁধে পা দিয়ে রাজনীতিবিদরা ‘ক্ষমতা’র গদিতে জেঁকে বসেন। দেশটি আর ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ’ থাকে না। সংবিধানে জনগণের কাছে জবাবদিহির শর্ত আছে, কেউ জবাবদিহির ধার ধারেন না। তাঁদের কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা থাকা তো দূরের কথা। বাংলাদেশে ভোটে বা বিনা ভোটে অনুষ্ঠিত ১২টি জাতীয় সংসদে যাঁরা সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন, তাঁরা কি কখনো তাঁদের নির্বাচনি প্রচারাভিযানে বলেছেন, ‘নির্বাচিত হলে আমি একটি সরকারি প্লট নেব’, ‘শুল্কমুক্ত গাড়ি ক্রয় করব’, ‘ঢাকা শহরের অভিজাত এলাকায় স্ত্রী-পুত্র-কন্যার নামে কয়েকটি অ্যাপার্টমেন্ট ক্রয় করব’ ইত্যাদি।

না, তাঁরা তা বলেন না। তাঁরা যা করবেন না বা বিশ্বাস করেন না, জনগণের সামনে তা-ই বলেন। তাঁরা যা বলেন না, নির্বাচিত হয়ে মনের গহিনে পুষে রাখা সুপ্ত আকাক্সক্ষাগুলো পূরণের উৎসবে মেতে ওঠেন। তাঁরা নির্বাচিত হওয়ার পর নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা ‘হলফনামায়’ দেখানো সম্পদের পরিমাণ কয়েক হাজার টাকা, স্ত্রীর কয়েক ভরি স্বর্ণালংকার, কয়েক বিঘা জমির পরিমাণ বন্যার পানির মতো রাতারাতি বেড়ে চলে। মনে হয় তাঁরা আলাদিনের জাদুর চেরাগ হাতে পেয়েছেন। অসৎ উপায়ে অর্জিত সম্পদ বিদেশে পাচার করেন। সন্তানদের পড়াশোনা করতে পাঠান বিদেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে। যে কোনো উপায়ে নির্বাচিত হয়ে তাঁরা হয়ে ওঠেন সর্বভূক এবং ভক্ষণের এই প্রতিযোগিতায় তাঁরা কোনো প্রতিপক্ষ সহ্য করতে চান না। রয়েসয়ে খাওয়ার অভ্যাস আওয়ামী লীগের ছিল না। তাদের লালিত নীতি ছিল ‘মারি তো গন্ডার, লুটি তো ভান্ডার!’ ছিঁচকে চুরির অভ্যাস রপ্ত করতে পারেনি আওয়ামী লীগ।   

১২টি জাতীয় সংসদের কতজন সদস্য জানতেন অথবা ভবিষ্যতেও যাঁরা নির্বাচিত হবেন, জাতীয় সংসদের মূল কাজ দেশ ও জনগণের কল্যাণে আইন প্রণয়ন করা। আইন প্রণয়নের প্রক্রিয়া অথবা আইনে কী আছে, তা জানার চেষ্টাও করেন না। স্পিকারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ১২টি জাতীয় সংসদের কতজন সদস্য জানতেন সমস্বরে ‘হ্যাঁ,’ বা ‘না’ উচ্চারণ করেন। আইন পাস হয়ে যায়। সংসদ সদস্যরা কেবল নিজ এলাকায় কোনো না কোনো ব্যয়বহুল প্রকল্প নিতে তদবির করেন। প্রকল্প মানেই ঠিকাদারি, ঠিকাদারি মানেই প্রকল্পের অর্থ নয়ছয় করার অবারিত সুযোগ। যে কোনো উপায়ে ‘ক্ষমতা’য় গিয়ে তাঁরা বাস্তবে জনগণের মনিব হয়ে ওঠেন এবং গণবিরোধী আচার-আচরণ শুরু করেন। এই গণবিরোধী হওয়ার ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের মতো মুনশিয়ানা অন্য কোনো দল প্রদর্শন করতে পারেনি। বিএনপি যখন সরকারে ছিল, তখন তারা আওয়ামী লীগকে অনুসরণ করতে যে চেষ্টা করেনি, তা নয় কিন্তু আওয়ামী লীগের মতো অন্যায়-অনাচার ও দুর্নীতির খেলায় নেমে বিএনপি নিজেদের নিতান্তই শিশু বলে প্রমাণ করেছে। গত বছরের আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন এবং পারিষদবর্গের পলায়নে বিএনপি প্রায় খেলোয়াড়শূন্য রাজনৈতিক ময়দানে বাধাহীন গোল দেওয়ার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে, যেন এমন সুযোগ আর কখনো তারা পাবে না। নির্বাচনে অবতীর্ণ হওয়ার জন্য কোনো বিলম্ব মেনে নিতে তারা রাজি নয়।

আওয়ামী লীগ যখনই রাষ্ট্রপরিচালনার সুযোগ পেয়েছে, তখনই তারা দানবে পরিণত হয়েছে। প্রতিপক্ষকে সহ্য না করার যে দীক্ষা ১৯৫৪ সালের প্রাদেশিক আইনসভা নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের বিজয়ের মধ্য দিয়ে লাভ করেছিল, ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর সেই দীক্ষাকে বাস্তবে রূপ দিতে হেন অন্যায় নেই করেনি। রাষ্ট্রকে শেখ মুজিব যেমন তাঁর ব্যক্তিগত উত্তরাধিকারে পরিণত করেছিলেন, সেই উত্তরাধিকারকে বংশপরম্পরায় অব্যাহত রাখার সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছিলেন শেখ হাসিনা ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে গণতন্ত্রের ইতিহাসে জঘন্যতম তিনটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। এসব নির্বাচনকে ‘নির্বাচন’ বললেও যে কোনো দেশের নির্বাচনপ্রক্রিয়াকে অপমান করা হবে। বিধির বিধানে তার ক্ষমতার আসন উল্টে না গেলে তার ‘চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত’-এর অধীনে জনগণ শেখ পরিবারের প্রজায় পরিণত হতে আর বেশি দিন লাগত না।

আগেই উল্লেখ করেছি, ১৯৫৪ সালে প্রাদেশিক আইনসভা নির্বাচনে অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর নেতৃত্বে আওয়ামী মুসলিম লীগ যুক্তফ্রন্টের প্রধান শরিক হিসেবে প্রথমবার ‘ক্ষমতা’র স্বাদ গ্রহণ শুরু করেছিল। কিন্তু আওয়ামী মুসলিম লীগ ও এ কে ফজলুল হকের নেতৃত্বাধীন কৃষক শ্রমিক পার্টির মধ্যে সার্বক্ষণিক দ্বন্দ্ব-সংঘাতে আওয়ামী লীগ তখন ক্ষমতার পুরো স্বাদ নিতে না পেরে উন্মাদ হয়ে উঠেছিল। সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুতে শেখ মুজিব হয়ে উঠেছিলেন আওয়ামী লীগের একচ্ছত্র নেতায়। এ কথা সত্য, তাঁর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ১৯৭০ সালে অনুষ্ঠিত পাকিস্তানের প্রথম সাধারণ নির্বাচনে সমগ্র পাকিস্তানে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের পরও বাঙালিদের ক্ষমতা লাভের পথে বাধা সৃষ্টি করা হলে পাকিস্তানি শাসনের বিরুদ্ধে অস্ত্র তুলে নেওয়ার কোনো বিকল্প ছিল না। কিন্তু আওয়ামী লীগ কেন জনগণের সেবা ও তাদের ভাগ্যোন্নয়নের পরিবর্তে ক্ষমতার সব চর্ব্য, চোষ্য, লেহ্যর আস্বাদনে মরিয়া হয়ে উঠেছিল, তার সূচনা ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের বিজয়, যার ওপর সামান্য আলোকপাত করা আবশ্যক।

পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলকে উপনিবেশের মতো ব্যবহার করার জন্য ব্রিটিশ শাসনের কায়দায় পাকিস্তানি শাসকরাও তাদের পছন্দনীয় ব্যক্তিকে পূর্ব পাকিস্তানের ‘গভর্নর’ পদে নিয়োগ করতেন তাদের স্বার্থ দেখাশোনা এবং বিশেষ করে পূর্ব পাকিস্তানের প্রাদেশিক সরকারের ওপর খবরদারি করার জন্য। এ ঘটনাই ঘটেছিল ১৯৫৪ সালে পূর্ববঙ্গ তথা পূর্ব পাকিস্তানের প্রথম প্রাদেশিক আইনসভা নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয়ী যুক্তফ্রন্ট সরকারকে স্বেচ্ছাচারমূলকভাবে ভেঙে গণতান্ত্রিক শাসনের সূচনালগ্নেই তা বানচাল করে পূর্ব পাকিস্তানে স্থায়ী রাজনৈতিক অচলাবস্থা সৃষ্টি করার মধ্য দিয়ে। এ জন্য আওয়ামী লীগও কম দায়ী ছিল না। 

নূরুল আমিনের নেতৃত্বাধীন মুসলিম লীগকে হটানোর উদ্দেশে এ কে ফজলুল হকের নেতৃত্বাধীন কৃষক শ্রমিক পার্টি (কেএসপি), মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ও হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর নেতৃত্বাধীন আওয়ামী মুসলিম লীগের নেতৃত্বে যুক্তফ্রন্ট মিলিতভাবে নির্বাচনে মুসলিম লীগের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। প্রাদেশিক আইনসভার ৩০৯ আসনের মধ্যে মুসলিম লীগ লাভ করে মাত্র ১০টি আসন। যুক্তফ্রন্ট ২৩৭টি আসনের মধ্যে ২২৩টি আসনে জয়ী হয়। এর মধ্যে প্রধান শরিক আওয়ামী মুসলিম লীগ সবচেয়ে বেশিসংখ্যক অর্থাৎ ১৪৩টি আসন পেলেও যুক্তফ্রন্টের সংসদীয় দলের নেতা নির্বাচন করা হয় এ কে ফজলুল হককে। মন্ত্রিসভা গঠন প্রশ্নে মতপার্থক্য সৃষ্টি হলে আওয়ামী লীগ প্রথমে মন্ত্রিসভায় যোগদানে বিরত থাকলেও পরে তাদেরই অধিকসংখ্যক মন্ত্রী নেওয়া হয়। কিন্তু যুক্তফ্রন্টের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের অবসান না ঘটায় যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রিসভা বাতিল ও পূর্ব বাংলায় গভর্নরের শাসন জারি করা হয়।

১৯৫৫ সালে যুক্তফ্রন্ট সংসদীয় দল আবার বৈঠকে মিলিত হলেও তাতে শরিক দলগুলো, বিশেষ করে আওয়ামী লীগ ও কৃষক শ্রমিক পার্টির মধ্যে দ্বন্দ্ব প্রকট ও দৃশ্যমান হয়েছিল। শুধু সংসদীয় দল নয়, রাজনৈতিক ময়দানেও আওয়ামী লীগ পূর্ব পাকিস্তানে অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের অস্তিত্ব সহ্য না করার নীতি গ্রহণ করে, যার প্রথম প্রদর্শন ঘটে মওলানা ভাসানীর প্রতিষ্ঠিত ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) পল্টন ময়দানে আয়োজিত জনসমাবেশে হামলা চালিয়ে পণ্ড করার মধ্য দিয়ে। প্রদেশে তখন আওয়ামী লীগের মন্ত্রিসভা ছিল। কৃষক শ্রমিক পার্টি সরকারকে চ্যালেঞ্জ করার মতো শক্তিশালী ছিল। তাদের টানাপোড়েনে প্রাদেশিক সরকারের ও কেএসপি ও আওয়ামী লীগের দ্বন্দ্ব-কলহের অবসান ঘটেনি। একের পর এক প্রাদেশিক সরকার পরিবর্তিত হতে থাকে। নতুন একটি দেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নেওয়ার মতো ধৈর্য ও সহনশীলতা দুটি দলেরই ছিল না। এক দল ক্ষমতায় না থাকলে আরেক দল স্বস্তি বোধ করে, তাদের প্রতিপক্ষ দল ক্ষমতায় নেই।

আইনসভার কিছু সদস্যের নাম দুই প্রতিদ্বন্দ্বী কেএসপি ও আওয়ামী লীগের তালিকায় ছিল। গভর্নর উভয় দলের নেতাদের ডেকে সংশ্লিষ্ট সদস্যদের তাঁর সামনে উপস্থিত করে তাদের দাবির যথার্থতা প্রমাণ করতে বলেন। একদিন সকালে কেএসপির বর্ষীয়ান নেতা ও কেন্দ্রীয় খাদ্যমন্ত্রী আবদুল লতিফ বিশ্বাস প্রাদেশিক আইনসভার সদস্য মি. আলীকে সঙ্গে নিয়ে গভর্নমেন্ট হাউসে যান। গভর্নর সুলতানউদ্দীন আহমেদকে জানান, মি. আলী কেএসপির সদস্য এবং তিনি আওয়ামী লীগের সদস্য নন। গভর্নরের এডিসি মেজর এস জি জিলানি তাঁর ‘ফিফটিন গভর্নরস আই সার্ভড উইথ’ গ্রন্থে বর্ণনা দিয়েছেন, ওই রাতেই সাড়ে ১১টার দিকে গভর্নমেন্ট হাউসে দ্রুতবেগে দুটি গাড়ি আসে। প্রথম গাড়ি থেকে নামেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মুজিবুর রহমান। তাঁর পেছনে অন্যান্যের মধ্যে মি. আলী ছিলেন, যিনি সকালে গভর্নমেন্ট হাউসে এসেছিলেন। তাঁর চুল এলোমেলো, পরনে লুঙ্গি এবং চেহারা বিধ্বস্ত। শেখ মুজিবুর রহমান এবং আরও দুই ব্যক্তি তাঁকে নিয়ে গভর্নরের পাঠকক্ষে যান। জানা যায়, মি. আলী সকালে গভর্নমেন্ট হাউসে এসে কেএসপির পক্ষে তাঁর সমর্থনসূচক স্বাক্ষর দিয়েছেন জানার পর আওয়ামী লীগ নেতারা বাড়িতে গিয়ে তাঁকে পিটিয়েছেন, হুমকি দিয়েছেন এবং এখন সঙ্গে এনেছেন কেএসপির প্রতি তাঁর সমর্থন প্রত্যাহার করানোর জন্য। তিনি গভর্নরকে বলেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আবদুল লতিফ বিশ্বাস তাঁকে তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে এনেছিলেন। আসলে তিনি আওয়ামী লীগের লোক, এখন তিনি তাঁর ভুল সংশোধন করতে এসেছেন।

গভর্নরের শাসনের অবসানের পর প্রাদেশিক পরিষদের অধিবেশনের প্রথম দিন ছিল ১৯৫৮ সালের ২০ সেপ্টেম্বর। ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির সদস্য দেওয়ান মাহবুব আলী স্পিকার কেএসপিদলীয় আবদুল হাকিমের বিরুদ্ধে এই মর্মে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন যে স্পিকার হাকিম ‘মানসিক অপ্রকৃতিস্থ’ ব্যক্তি এবং দায়িত্ব পালনের জন্য অযোগ্য। এ নিয়ে আইনসভায় প্রচণ্ড হট্টগোল শুরু হয়। সদস্যরা পরস্পর হাতাহাতি করেন। তিন দিন পর ১৯৫৮ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর প্রাদেশিক আইনসভার অধিবেশন বসলে সভাপতিত্ব করছিলেন ডেপুটি স্পিকার শাহেদ আলী। তিনিও কেএসপির সদস্য ছিলেন। আওয়ামী লীগ ডেপুটি স্পিকার পদে তাঁকে সমর্থন করেছিল। তিনি তাঁর সূচনা বক্তব্য দিতে শুরু করলে কেএসপি ও আওয়ামী লীগ সদস্যরা তিন দিন আগের মতোই সংঘর্ষে লিপ্ত হন। এবারের সংঘর্ষ ছিল আরও ভয়াবহ। তাঁরা হাতের কাছে যা পান তা নিয়ে একে অন্যের দিকে তেড়ে যান। একপর্যায়ে একটি পেপারওয়েট অথবা কোনো কোনো বর্ণনায় চেয়ারের হাতল ডেপুটি স্পিকার শাহেদ আলীর ওপর গিয়ে পড়ে। তিনি গুরুতর আহত হন। দুই দিন পর তিনি হাসপাতালে মারা যান। ডেপুটি স্পিকার শাহেদ আলীকে হত্যার ঘটনার মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রের অপমৃত্যু ঘটে, দেশ চলে যায় সামরিক শাসনের আওতায়।

ডেপুটি স্পিকার শাহেদ আলীর ওপর হামলার জন্য শেখ মুজিবসহ আওয়ামী লীগের কিছু সদস্যকে দায়ী করা হলেও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তা অস্বীকার করা হয়। কিন্তু এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে গঠিত বিচারপতি আসীর কমিশন রিপোর্টে অন্তর্ভুক্ত একাধিক দলিলে হামলার আগে ও পরে শেখ মুজিবের ভূমিকার কথা উল্লেখ রয়েছে। স্পিকার আবদুল হাকিম প্রেসিডেন্ট ইস্কান্দার মির্জার কাছে পাঠানো এক টেলিগ্রামে উল্লেখ করেন :

“Mujibur Rahman over Telephone several  times threatened me with violence of the    worst sort saying I will not be allowed to enter the Assembly. Will be bodily removed adding that no local police will be of help to me. Relation of mine was assaulted last evening. I seek your advice.” (Justice Asir Commission Report)

(মুজিবুর রহমান টেলিফোনে বেশ কয়েকবার আমাকে এই বলে মারাত্মক ধরনের সহিংসতার হুমকি দিয়েছিলেন যে আমাকে অ্যাসেম্বলিতে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। আমাকে সশরীরে অপসারণ করা হবে এবং স্থানীয় পুলিশ আমার কোনো সহায়ক হবে না। গত সন্ধ্যায় আমার এক আত্মীয়ের ওপর আক্রমণ করা হয়েছিল। আমি আপনার পরামর্শ কামনা করছি)।

কেএসপির আবু হোসেন সরকার প্রেসিডেন্ট ইস্কান্দার মির্জার কাছে পাঠানো ফনোগ্রামে বলেন :

“Mujibur Rahman and other leaders attacked Speaker with spears, rods and microphone stands, imported armed goondas by Awami Leaguers rushed inside Assembly from outside attacked Speaker and opposition members encircling Speaker to save his life were molested and beaten, despite frantic appeal police refused help, some opposition members wrongfully confined in Awami Minister’s house, others threatened with attack anywhere any time.” (Justice Asir Commission Report)

(মুজিবুর রহমান এবং অন্যান্য নেতারা স্পিকারকে বর্শা, লোহার রড এবং মাইক্রোফোনের স্ট্যান্ড দিয়ে আক্রমণ করেছিলেন। আওয়ামী লীগাররা বাইরে থেকে সশস্ত্র গুন্ডাদের অ্যাসেম্বলির ভিতরে এনেছিল, যারা স্পিকারের ওপর আক্রমণ করে। বিরোধীদলীয় সদস্যরা স্পিকারের জীবনরক্ষার জন্য তাঁকে ঘিরে রাখলেও তাঁর সঙ্গে অসদাচরণ ও তাঁকে প্রহার করা হয়। সাহায্যের জন্য পুলিশের কাছে কাতর অনুনয় করা সত্ত্বেও পুলিশ সাহায্য করতে অস্বীকৃতি জানায়। কিছু বিরোধীদলীয় সদস্যকে ভুলবশত আওয়ামী মন্ত্রীর বাড়িতে আটকে রাখা হয়েছিল। অন্যদের ওপর যে কোনো স্থানে যে কোনো সময়ে আক্রমণ করার হুমকি দেওয়া হয়েছিল)।

লেখক : যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী সিনিয়র সাংবাদিক ও অনুবাদক

এই বিভাগের আরও খবর
ড. ইউনূস এবং তারেক রহমানের বৈঠক : কেমন ছিল দুই নেতার বডি ল্যাংগুয়েজ?
ড. ইউনূস এবং তারেক রহমানের বৈঠক : কেমন ছিল দুই নেতার বডি ল্যাংগুয়েজ?
সেনাবাহিনীর সহায়তায় মাদকমুক্ত দেশের স্বপ্ন
সেনাবাহিনীর সহায়তায় মাদকমুক্ত দেশের স্বপ্ন
ড. ইউনূসের নোবেলপ্রাপ্তিতে খালেদা জিয়া ও প্রিন্স চার্লসের ভূমিকা
ড. ইউনূসের নোবেলপ্রাপ্তিতে খালেদা জিয়া ও প্রিন্স চার্লসের ভূমিকা
পুঁজিবাদী পিতৃতান্ত্রিক ব্যবস্থার অবসান জরুরি
পুঁজিবাদী পিতৃতান্ত্রিক ব্যবস্থার অবসান জরুরি
যে বৈশিষ্ট্যে অনন্য কওমি মাদরাসা
যে বৈশিষ্ট্যে অনন্য কওমি মাদরাসা
বাংলাদেশ ব্যাংক কি নিরাপদ হাতে, নাকি শিয়ালের কাছে মুরগি?
বাংলাদেশ ব্যাংক কি নিরাপদ হাতে, নাকি শিয়ালের কাছে মুরগি?
ভুল সড়কে নির্বাচনী বাস
ভুল সড়কে নির্বাচনী বাস
জাতীয় নির্বাচন: এপ্রিল নয়, কেন ডিসেম্বর-জানুয়ারিই যুক্তিযুক্ত
জাতীয় নির্বাচন: এপ্রিল নয়, কেন ডিসেম্বর-জানুয়ারিই যুক্তিযুক্ত
দেশের মানুষ আর রূপকথা চায় না, চায় প্রকৃত গণতন্ত্র: জিল্লুর রহমান
দেশের মানুষ আর রূপকথা চায় না, চায় প্রকৃত গণতন্ত্র: জিল্লুর রহমান
নির্বাচন দিতে টালবাহানা কেন?
নির্বাচন দিতে টালবাহানা কেন?
নিয়মতান্ত্রিকতার বিভ্রম এবং অসংগতি থেকে ফুটবল মুক্তি পাক
নিয়মতান্ত্রিকতার বিভ্রম এবং অসংগতি থেকে ফুটবল মুক্তি পাক
সহায়তার বদলে ভঙ্গুর শিল্প-বাণিজ্যে কুঠারাঘাত!
সহায়তার বদলে ভঙ্গুর শিল্প-বাণিজ্যে কুঠারাঘাত!
সর্বশেষ খবর
ইরানের হামলায় ইসরায়েলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৪
ইরানের হামলায় ইসরায়েলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৪

এই মাত্র | পূর্ব-পশ্চিম

৪৮ ঘণ্টায় ভূপাতিত ৪৪টি ইসরায়েলি ড্রোন ও কোয়াডকপ্টার
৪৮ ঘণ্টায় ভূপাতিত ৪৪টি ইসরায়েলি ড্রোন ও কোয়াডকপ্টার

৬ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে যুক্ত হতে পারে যুক্তরাষ্ট্রও, ট্রাম্পের ইঙ্গিত
ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে যুক্ত হতে পারে যুক্তরাষ্ট্রও, ট্রাম্পের ইঙ্গিত

২২ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফুলছড়ি উপজেলা সমন্বয় কমিটি ঘোষণার পরপরই এনসিপি নেতার পদত্যাগ
ফুলছড়ি উপজেলা সমন্বয় কমিটি ঘোষণার পরপরই এনসিপি নেতার পদত্যাগ

৩০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বৃষ্টি ও তাপপ্রবাহ নিয়ে নতুন বার্তা
বৃষ্টি ও তাপপ্রবাহ নিয়ে নতুন বার্তা

৩৬ মিনিট আগে | জাতীয়

১০ দিনের ছুটি শেষে বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি শুরু
১০ দিনের ছুটি শেষে বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি শুরু

৩৭ মিনিট আগে | অর্থনীতি

গোপালগঞ্জে দুই প্রতারককে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ
গোপালগঞ্জে দুই প্রতারককে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ

৪২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

লন্ডনে বৈঠক নিয়ে গাত্রদাহ হওয়া উচিত না : এ্যানি
লন্ডনে বৈঠক নিয়ে গাত্রদাহ হওয়া উচিত না : এ্যানি

৪৩ মিনিট আগে | রাজনীতি

সাতক্ষীরায় আওয়ামী লীগ নেতা কান্টু গ্রেফতার
সাতক্ষীরায় আওয়ামী লীগ নেতা কান্টু গ্রেফতার

৫০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে শিক্ষার্থীর মৃত্যু
বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে শিক্ষার্থীর মৃত্যু

৫১ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ভোলায় প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ, মামলা
ভোলায় প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ, মামলা

৫৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

যুবকের মরদেহ উদ্ধার
যুবকের মরদেহ উদ্ধার

৫৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

জুলাইয়ে আহত যুবদল নেতাকর্মীরা পেলেন তারেক রহমানের উপহার
জুলাইয়ে আহত যুবদল নেতাকর্মীরা পেলেন তারেক রহমানের উপহার

১ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

শিশুর লাশ উদ্ধার
শিশুর লাশ উদ্ধার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সংস্কার ব্যতীত গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অসম্ভব : ফয়জুল করিম
সংস্কার ব্যতীত গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অসম্ভব : ফয়জুল করিম

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

লক্ষ্মীপুরে আদালতে আইনজীবী-কর্মচারীদের হাতাহাতি
লক্ষ্মীপুরে আদালতে আইনজীবী-কর্মচারীদের হাতাহাতি

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মোটরসাইকেলের ধাক্কায় নারীর মৃত্যু
মোটরসাইকেলের ধাক্কায় নারীর মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শাহজালাল বিমানবন্দরে ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার
শাহজালাল বিমানবন্দরে ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

যশোর জেলা পরিষদের বাজেট ঘোষণা
যশোর জেলা পরিষদের বাজেট ঘোষণা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মধুমতি নদীতে মায়ের সঙ্গে গোসলে নেমে মেয়ে নিখোঁজ
মধুমতি নদীতে মায়ের সঙ্গে গোসলে নেমে মেয়ে নিখোঁজ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চলনবিলের কৃষকদের ধান পানির নিচে
চলনবিলের কৃষকদের ধান পানির নিচে

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জেলের জালে ধরা পড়ল ২৩ কেজি ওজনের কোরাল
জেলের জালে ধরা পড়ল ২৩ কেজি ওজনের কোরাল

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

স্পেনে ঢাকা জেলা সোসাইটির নতুন কমিটির অভিষেক
স্পেনে ঢাকা জেলা সোসাইটির নতুন কমিটির অভিষেক

১ ঘণ্টা আগে | পরবাস

ধারালো অস্ত্রের আঘাতে যুবকের মৃত্যু
ধারালো অস্ত্রের আঘাতে যুবকের মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়ন করলেই তো সংস্কার হয়ে যায় : এম এ মালিক
বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়ন করলেই তো সংস্কার হয়ে যায় : এম এ মালিক

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

করোনা ও ডেঙ্গু রোধে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য জরুরি নির্দেশনা
করোনা ও ডেঙ্গু রোধে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য জরুরি নির্দেশনা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কাস্টমস সার্ভারে জটিলতা, হিলি স্থলবন্দরে আসেনি ভারতীয় ট্রাক
কাস্টমস সার্ভারে জটিলতা, হিলি স্থলবন্দরে আসেনি ভারতীয় ট্রাক

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মালদ্বীপে বাংলাদেশ বাস্কেটবল দলের ব্রোঞ্জ পদক জয়
মালদ্বীপে বাংলাদেশ বাস্কেটবল দলের ব্রোঞ্জ পদক জয়

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

একসঙ্গে স্বামী-স্ত্রীর বিষপান, মারা গেলেন স্বামী
একসঙ্গে স্বামী-স্ত্রীর বিষপান, মারা গেলেন স্বামী

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইরান থেকে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু, ইসরায়েলে ফের সতর্কতা সাইরেন
ইরান থেকে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু, ইসরায়েলে ফের সতর্কতা সাইরেন

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
ইরানের যে নতুন ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ইসরায়েলে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ
ইরানের যে নতুন ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ইসরায়েলে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জাতীয় গাদ্দারদের খুঁজতে ইরানের অভিযান শুরু, ৫ ইসরায়েলি গুপ্তচর গ্রেফতার
জাতীয় গাদ্দারদের খুঁজতে ইরানের অভিযান শুরু, ৫ ইসরায়েলি গুপ্তচর গ্রেফতার

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলে ভয়াবহ হামলা ইরানের, হতাহত দুই শতাধিক
ইসরায়েলে ভয়াবহ হামলা ইরানের, হতাহত দুই শতাধিক

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরাকের আকাশসীমা লঙ্ঘনে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কড়া প্রতিবাদ
ইরাকের আকাশসীমা লঙ্ঘনে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কড়া প্রতিবাদ

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নেতানিয়াহু একটি জাতিকে ধ্বংস করছে, ভারত তাকে সমর্থন ও উৎসাহও দিচ্ছে: প্রিয়াঙ্কা
নেতানিয়াহু একটি জাতিকে ধ্বংস করছে, ভারত তাকে সমর্থন ও উৎসাহও দিচ্ছে: প্রিয়াঙ্কা

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১ ঘণ্টায় ইসরায়েলের ১০ যুদ্ধবিমান ভূপাতিতের দাবি ইরানের
১ ঘণ্টায় ইসরায়েলের ১০ যুদ্ধবিমান ভূপাতিতের দাবি ইরানের

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানি মিসাইলে ইসরায়েলের ওয়েইজম্যান বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
ইরানি মিসাইলে ইসরায়েলের ওয়েইজম্যান বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ভয়াবহতা দেখে যা বললেন নেতানিয়াহু
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ভয়াবহতা দেখে যা বললেন নেতানিয়াহু

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানি হামলায় তছনছ ইসরায়েল, হতাহত দুই শতাধিক
ইরানি হামলায় তছনছ ইসরায়েল, হতাহত দুই শতাধিক

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঈদের ছুটিতে সপরিবার সরকারি সফরে গিয়ে অতিরিক্ত সচিবের ‘আনন্দভ্রমণ’
ঈদের ছুটিতে সপরিবার সরকারি সফরে গিয়ে অতিরিক্ত সচিবের ‘আনন্দভ্রমণ’

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলকে ধ্বংস করতে ইরান যেসব ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে
ইসরায়েলকে ধ্বংস করতে ইরান যেসব ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত ইরান
দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত ইরান

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : একনজরে গত ২৪ ঘণ্টায় যা যা ঘটল
ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : একনজরে গত ২৪ ঘণ্টায় যা যা ঘটল

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাতভর মিসাইল বৃষ্টিতে বিপদে ইসরায়েল
রাতভর মিসাইল বৃষ্টিতে বিপদে ইসরায়েল

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যে কারণে ১,৭০৫ বন্দিকে ক্ষমা করলেন খামেনি
যে কারণে ১,৭০৫ বন্দিকে ক্ষমা করলেন খামেনি

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘সরকার পরিবর্তনে’ এটিই সুযোগ, ইরানের সাবেক যুবরাজের উস্কানি
‘সরকার পরিবর্তনে’ এটিই সুযোগ, ইরানের সাবেক যুবরাজের উস্কানি

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলে ফের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইরান
ইসরায়েলে ফের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইরান

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান ট্রাম্পের
ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান ট্রাম্পের

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

'ইরানে হামলায় কেবল সমর্থন নয়, ইসরায়েলকে উৎসাহও দিচ্ছে ভারত'
'ইরানে হামলায় কেবল সমর্থন নয়, ইসরায়েলকে উৎসাহও দিচ্ছে ভারত'

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলে আরও ধ্বংসাত্মক হামলা চালানো হবে, ঘোষণা ইরানের
ইসরায়েলে আরও ধ্বংসাত্মক হামলা চালানো হবে, ঘোষণা ইরানের

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মার্কিন স্বার্থে হামলা চালালে ইরানকে যে ভয়ঙ্কর পরিণতির হুঁশিয়ারি দিলেন ট্রাম্প
মার্কিন স্বার্থে হামলা চালালে ইরানকে যে ভয়ঙ্কর পরিণতির হুঁশিয়ারি দিলেন ট্রাম্প

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তান কি ইসরায়েলের পরবর্তী টার্গেট?
পাকিস্তান কি ইসরায়েলের পরবর্তী টার্গেট?

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দিতে পারে ইরান
হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দিতে পারে ইরান

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের হামলায় তেহরানের তেল ডিপোতে আগুন
ইসরায়েলের হামলায় তেহরানের তেল ডিপোতে আগুন

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘পাঁচ ইসলামী ব্যাংক মিলে হবে এক ব্যাংক, চাকরি হারাবেন না কর্মীরা’
‘পাঁচ ইসলামী ব্যাংক মিলে হবে এক ব্যাংক, চাকরি হারাবেন না কর্মীরা’

৫ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ইরান-ইসরায়েলের পাল্টাপাল্টি হামলার মধ্যেই জরুরি বৈঠকের ডাক বিশ্ব পরমাণু সংস্থার
ইরান-ইসরায়েলের পাল্টাপাল্টি হামলার মধ্যেই জরুরি বৈঠকের ডাক বিশ্ব পরমাণু সংস্থার

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অভিনেত্রী সৌন্দর্য থেকে সঞ্জয় গান্ধীর মৃত্যু: নিছক বিমান দুর্ঘটনা, নাকি ষড়যন্ত্র?
অভিনেত্রী সৌন্দর্য থেকে সঞ্জয় গান্ধীর মৃত্যু: নিছক বিমান দুর্ঘটনা, নাকি ষড়যন্ত্র?

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরান থেকে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু, ইসরায়েলে ফের সতর্কতা সাইরেন
ইরান থেকে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু, ইসরায়েলে ফের সতর্কতা সাইরেন

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলে যে কোনো মুহূর্তে ভয়াবহ হামলার ঘোষণা ইরানের
ইসরায়েলে যে কোনো মুহূর্তে ভয়াবহ হামলার ঘোষণা ইরানের

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের সঙ্গে সমন্বয় করে ইসরায়েলে হামলা হুথিদের
ইরানের সঙ্গে সমন্বয় করে ইসরায়েলে হামলা হুথিদের

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
বিশ্বযুদ্ধের অশনিসংকেত
বিশ্বযুদ্ধের অশনিসংকেত

প্রথম পৃষ্ঠা

কোয়েলকে কেন কাঁদাতেন বাবা রঞ্জিত মল্লিক
কোয়েলকে কেন কাঁদাতেন বাবা রঞ্জিত মল্লিক

শোবিজ

আজ বিশ্ব বাবা দিবস
আজ বিশ্ব বাবা দিবস

পেছনের পৃষ্ঠা

ক্ষোভ কাটেনি প্রশাসনে
ক্ষোভ কাটেনি প্রশাসনে

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সিলেটে দুই উপদেষ্টার গাড়ি আটকে বিক্ষোভ
সিলেটে দুই উপদেষ্টার গাড়ি আটকে বিক্ষোভ

প্রথম পৃষ্ঠা

বেগম জিয়াই জাতির কান্ডারি
বেগম জিয়াই জাতির কান্ডারি

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপিতে স্বস্তি, জামায়াতে অস্বস্তি
বিএনপিতে স্বস্তি, জামায়াতে অস্বস্তি

প্রথম পৃষ্ঠা

৫০ লাখেরও বেশি ভিউ অর্জন করল ‘প্রিয় প্রজাপতি’
৫০ লাখেরও বেশি ভিউ অর্জন করল ‘প্রিয় প্রজাপতি’

শোবিজ

আজ পয়লা আষাঢ়
আজ পয়লা আষাঢ়

পেছনের পৃষ্ঠা

সাতসকালে র‌্যাবের পোশাক পরে কোটি টাকা ছিনতাই
সাতসকালে র‌্যাবের পোশাক পরে কোটি টাকা ছিনতাই

প্রথম পৃষ্ঠা

পৃথিবীতে বাবার মতো আর আছে কেবা...
পৃথিবীতে বাবার মতো আর আছে কেবা...

শোবিজ

বাবার প্রতি সুহানার ভালোবাসা
বাবার প্রতি সুহানার ভালোবাসা

শোবিজ

গৌতমকে কেন বাবা উত্তমের ‘না’
গৌতমকে কেন বাবা উত্তমের ‘না’

শোবিজ

দুটি জোট ও ২৮টি দল নিয়ে জাতীয় সংস্কার জোটের আত্মপ্রকাশ
দুটি জোট ও ২৮টি দল নিয়ে জাতীয় সংস্কার জোটের আত্মপ্রকাশ

নগর জীবন

দুর্লভ কালাঘাড় রাজন পাখির পিতৃত্ববোধ
দুর্লভ কালাঘাড় রাজন পাখির পিতৃত্ববোধ

পেছনের পৃষ্ঠা

অনেকের মনে এখন জ্বালা
অনেকের মনে এখন জ্বালা

প্রথম পৃষ্ঠা

দারিদ্র্যমোচন ব্যয় কমছেই বাজেটে
দারিদ্র্যমোচন ব্যয় কমছেই বাজেটে

পেছনের পৃষ্ঠা

দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বচ্যাম্পিয়ন
দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বচ্যাম্পিয়ন

মাঠে ময়দানে

প্রধান উপদেষ্টার নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ন
প্রধান উপদেষ্টার নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ন

প্রথম পৃষ্ঠা

বাংলাদেশিরা ইরানে কেমন আছেন
বাংলাদেশিরা ইরানে কেমন আছেন

প্রথম পৃষ্ঠা

কাবরেরার পদত্যাগ চাইলেন বাফুফে সদস্য
কাবরেরার পদত্যাগ চাইলেন বাফুফে সদস্য

মাঠে ময়দানে

বাবা দিবসে আবুল হায়াত
বাবা দিবসে আবুল হায়াত

শোবিজ

নাইটহুড উপাধিতে ভূষিত ডেভিড বেকহ্যাম
নাইটহুড উপাধিতে ভূষিত ডেভিড বেকহ্যাম

মাঠে ময়দানে

বিজিএমইএর নতুন সভাপতি মাহমুদ হাসান
বিজিএমইএর নতুন সভাপতি মাহমুদ হাসান

প্রথম পৃষ্ঠা

মামলা দ্রুত নিষ্পত্তিতে কোড সংশোধন হচ্ছে
মামলা দ্রুত নিষ্পত্তিতে কোড সংশোধন হচ্ছে

প্রথম পৃষ্ঠা

গলে স্পিনারদের সঙ্গে ব্যাটাররাও সুবিধা পাবেন
গলে স্পিনারদের সঙ্গে ব্যাটাররাও সুবিধা পাবেন

মাঠে ময়দানে

বদলাতে পারে লিগের ফরম্যাট
বদলাতে পারে লিগের ফরম্যাট

মাঠে ময়দানে

ভয়ংকর যত বিমান দুর্ঘটনা
ভয়ংকর যত বিমান দুর্ঘটনা

রকমারি

মেলার প্যান্ডেল ভাঙচুর আগুন
মেলার প্যান্ডেল ভাঙচুর আগুন

নগর জীবন