রাশিয়ার সাইবেরিয়া অঞ্চলের চারটি সামরিক ঘাঁটিতে গত ২ জুন বড় ধরনের ড্রোন হামলা চালায় ইউক্রেন। এতে রাশিয়ার ৪০টির বেশি যুদ্ধবিমান ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে দাবি করেছেন ইউক্রেন। প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, রাশিয়ার যে ৪০টির বেশি বোমারু বিমান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেগুলো টিইউ-৯৫ ও টিইউ-২২ কৌশলগত বোমারু বিমান। এসব যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে আসছিল রাশিয়া।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, রাশিয়ার বিমানঘাঁটিতে ইউক্রেনের ওই বিস্ময়কর ড্রোন হামলায় ব্যবহার করা ট্রাকগুলোর রুশ চালাকরা ঘটনার বিষয়ে পুরোপুরি অজ্ঞাত ছিলেন। অভিযানের প্রকৃত উদ্দেশ্য সম্পর্কে তারা জানতেন না। তারা শুধু তাদের দায়িত্ব পালন করেছেন।
এবিসি নিউজকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কি বলেন, ‘তারা কিছুই জানত না। শুধু তাদের কাজ করেছে।’
ইউক্রেনের সামরিক সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, হামলায় যেসব ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছিল, সেগুলো বিশেষ ধরনের ভ্রাম্যমাণ ঘরের ভেতরে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। আর ঘরগুলো ট্রাকের ওপর বসানো ছিল এবং এর ছাদ এমনভাবে তৈরি ছিল যা দূর থেকে নিয়ন্ত্রণ করে সহজেই সরিয়ে ফেলা যায়। ছাদ খুলে সেই ঘর থেকেই ড্রোনগুলো ছেড়ে দিয়ে হামলা চালানো হয়।
জেলেনস্কি বলেন, এই পুরো অভিযান ইউক্রেনের তৈরি অস্ত্র দিয়েই চালানো হয়েছে। কোনো মিত্র দেশের অস্ত্র ব্যবহার করা হয়নি। তার ভাষায়, ‘আমি চেয়েছিলাম পুরো বিষয়টি পরিষ্কারভাবে দেখাতে— আমরা নিজেরাই এটা করেছি।’
ইউক্রেন দাবি করেছে, এই অভিযানে তারা রাশিয়ার অন্তত ৪০টি বোমারু বিমান ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, যা রাশিয়ার কৌশলগত বোমারু বহরের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ।
জেলেনস্কি আরও বলেন, এ ধরনের সফল অভিযান প্রমাণ করে যে ইউক্রেন শুধু সাহসিকতাই নয়, কৌশলগত বুদ্ধিমত্তায়ও এগিয়ে। তবে একই সঙ্গে তিনি রুশ সাধারণ নাগরিকদের নিরাপত্তার কথাও মাথায় রাখছেন বলে জানান। পুরো সাক্ষাৎকারটি এবিসি নিউজের ‘দিস উইক উইথ জর্জ স্টেফানোপুলাস’ অনুষ্ঠানে আগামী রবিবার প্রচারিত হবে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল