জাপান জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত শুল্কের কারণে জাপানি কোম্পানিগুলোর মুনাফা প্রতিদিনই কমছে। এ পরিস্থিতির দ্রুত সমাধান চেয়েছেন দেশটির এক শীর্ষ কর্মকর্তা। টোকিও থেকে এএফপি জানায়, জাপানের অর্থনৈতিক পুনরুজ্জীবন বিষয়ক মন্ত্রী রিওসেই আকাজাওয়া এ সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে শুল্ক নিয়ে আলোচনায় অংশ নিতে যাচ্ছেন। সোমবার পার্লামেন্টে এ তথ্য জানান প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা।
জাপান এখনও যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক থেকে ছাড় পায়নি। এর মধ্যে রয়েছে গ্লোবাল অটো খাতে ২৫ শতাংশ শুল্ক, যা এপ্রিলের শুরু থেকে কার্যকর হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জাপানি পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ২৪ শতাংশ শুল্ক দেওয়ার কথাও বলেছিলেন, তবে সেটি আপাতত স্থগিত রয়েছে।
আকাজাওয়া বলেন, ‘কিছু শুল্ক ইতোমধ্যে কার্যকর হওয়ায় জাপানি কোম্পানিগুলোর লাভ প্রতিদিনই কমছে। যত তাড়াতাড়ি এ সমস্যার সমাধান হবে, ততই ভালো।’
ওয়াশিংটন সফরে আকাজাওয়া ট্রাম্পের আরোপিত শুল্ক পুনর্বিবেচনার জন্য জোরালো দাবি জানাবেন বলে জানা গেছে। তিনি বলেন, ‘জাতীয় স্বার্থ ও কার্যকর কৌশল মাথায় রেখেই আমি আলোচনা করব।’
জাপানি গণমাধ্যম জানিয়েছে, আগামী বুধবার মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট ও বাণিজ্য প্রতিনিধি জেমিসন গ্রিয়ারের সঙ্গে আকাজাওয়ার বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
গত বছর জাপান যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ২১.৩ ট্রিলিয়ন ইয়েন (১৪২ বিলিয়ন ডলার) মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে। এর মধ্যে প্রায় ২৮ শতাংশ ছিল গাড়ি। জাপানি কোম্পানিগুলো যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগকারী।
সোমবার সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লরেন্স ওংয়ের সঙ্গে ফোনালাপে জাপানি প্রধানমন্ত্রী ইশিবা জানান, ‘'যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক এবং চীনের পাল্টা ব্যবস্থা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় জাপানি কোম্পানিগুলোর জন্য বড় ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করছে।’
আলোচনার আগে আকাজাওয়া ‘ইয়োমিউরি শিমবুন’ পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, 'আমাদের বোঝাতে হবে যে, শুল্ক আরোপ বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) ও জাপান-মার্কিন বাণিজ্য চুক্তির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। আমাদের উদ্বেগগুলো পরিষ্কার করতে হবে।’
তিনি আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্র চাইলে আলাস্কায় তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) প্রকল্প নিয়েও আলোচনা করতে প্রস্তুত আছেন।
গত মাসে ট্রাম্প বলেছিলেন, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মিলে আলাস্কায় এলএনজি পাইপলাইন প্রকল্পে কাজ করতে আগ্রহী। -বাসস
বিডি-প্রতিদিন/শআ