গাজা উপত্যকাজুড়ে হামাসের বিরুদ্ধে স্থল অভিযান শুরু করেছে দখলদার ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। রবিবার তারা ফিলিস্তিনিদের গাজার রাফাহ শহরের একাংশ থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। জেরুজালেম থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের সামরিক মুখপাত্র আভিচায় আদরাই বলেছেন, সেনাবাহিনী রাফাহর তাল আল-সুলতান অঞ্চলে ‘সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর’ বিরুদ্ধে হামলা শুরু করেছে। তিনি ফিলিস্তিনিদের ‘বিপজ্জনক যুদ্ধক্ষেত্র’ ছেড়ে আরো উত্তরে সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
মিশরের সীমান্তে অবস্থিত গাজা উপত্যকার রাফাহ শহরটি প্রায় এক বছর আগে ইসরায়েলি হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছিল। এএফপির সংবাদদাতারা জানিয়েছেন, তাল আল-সুলতান জেলায় ড্রোন থেকে একই বার্তা সম্বলিত লিফলেট ছুঁড়ে ফেলা হয়েছে।
রবিবার ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী ঘোষণা করেছে, তারা গাজা উপত্যকার উত্তরে বেইত হানুনেও অভিযান পরিচালনা করছে। সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘অভিযানের সময় যুদ্ধবিমান হামাসের বেশ কয়েকটি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে।’
এদিকে, রবিবার হামাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস এলাকার আল-মাওয়াসিতে একটি তাঁবুর ওপর ইসরায়েলি হামলায় হামাসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা সালাহ আল-বারদাউইল ও তার স্ত্রী নিহত হয়েছেন।
উল্লেখ্য, চলতি বছর ১৯ জানুয়ারি হামাসের সঙ্গে সাময়িক যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর করে ইসরায়েল। ১ মার্চ যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম ধাপ শেষ হয়। নতুন করে যুদ্ধবিরতি চুক্তির আলোচনায় না গিয়ে, ইসরায়েল হামাসকে ধ্বংস করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে গত মঙ্গলবার গাজায় ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ চালায়।
পুনরায় হামলার আগে মার্চের শুরুতে, ইসরায়েল যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় মানবিক সাহায্য প্রবেশে বাধা দেয়। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ গাজায় বিদ্যুৎ সরবরাহও বন্ধ করে দেয়, যাতে হামাস যুদ্ধবিরতি বাড়াতে ইসরায়েলের শর্ত মেনে নেয় এবং তাদের কাছে জিম্মি ৫৮ জন ইসরায়েলি নাগরিককে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়।
বিডি-প্রতিদিন/শআ